সুস্মিতা মণ্ডল, সাগর : বারে বারে প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের জেরে বিপর্যস্ত দক্ষিণ ২৪ পরগনার সুন্দরবন। বিশেষ করে নদী ও সমুদ্র-উপকূল সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত। উপকূলের ঘরদুয়ার সব নদী বা সমুদ্রের জলে তলিয়ে যায়৷ দীর্ঘমেয়াদি ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয় পুরো এলাকা। ঘোড়ামারা বা মৌসুনি দ্বীপ সেই ধ্বংসের ছবি বহন করে। সুন্দরবনকে রক্ষা করতে পারে একমাত্র ম্যানগ্রোভ। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও ম্যানগ্রোভ রোপণের ওপর বিশেষ জোর দিয়েছেন। চলতি বছরে সুন্দরবন জুড়ে পাঁচ কোটি ম্যানগ্রোভ রোপণের লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন : নন্দীগ্রামে কেন্দ্রের কৃষকবঞ্চনা, বিজেপির গুন্ডামি জমি অধিগ্রহণে বঞ্চনার অভিযোগ
সুন্দরবনের ১৬টি ব্লক জুড়ে শুরু হয়েছে ম্যানগ্রোভ রোপণের কাজ। সুন্দরবনের অন্যতম ভাঙন-কবলিত সাগর ব্লক। দ্বীপ নদী ও সমুদ্র দিয়ে ঘেরা। এই ব্লকেও জোরকদমে চলছে কাজ। ব্লকের ১৬০ হেক্টর জমিতে ম্যানগ্রোভ রোপণ শুরু হয়েছে। সাগরের প্রতিটি পঞ্চায়েতের দুটি করে স্বনির্ভর দলের মহিলারা চারা তৈরি করছেন। সুন্দরী, গোলপাতা, বাইন, ঝাউগাছের চারা রোপণ করা হচ্ছে উপকূল এলাকায়। তৈরি হবে ম্যানগ্রোভ প্রাচীর। যা আগামী দিনে ঝড়ঝঞ্ঝার হাত থেকে সুন্দরবনকে রক্ষা করবে। সম্প্রতি মুড়িগঙ্গা এক ও দু’ নম্বর পঞ্চায়েত এলাকায় ম্যানগ্রোভ নার্সারি ও রোপণের কাজ ঘুরে দেখেন সাগরের বিডিও সুদীপ্ত মণ্ডল। স্বনির্ভর মহিলাদের উৎসাহিত করেন। গ্রামের মহিলারা বীজ সংগ্রহ থেকে শুরু করে চারা রক্ষণাবেক্ষণ সবই করছেন। প্রতিটি পঞ্চায়েতে দুটি করে নার্সারিতে বিভিন্ন প্রজাতির ম্যানগ্রোভের চারা তৈরি করছেন। অর্থনৈতিকভাবে সাবলম্বী হওয়াও যাবে এই ম্যানগ্রোভ উদ্যোগে।