প্রতিবেদন: সামরিক আইন (মার্শাল ল) জারি করার পরেই দেশ জুড়ে বিক্ষোভ ও পার্লামেন্টে চাপের মুখে পড়ে পিছু হটতে হয়েছে দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট ইউন সুক-ইওলকে। কিন্তু তারপরেও নিস্তার নেই। এবার পার্লামেন্টের ইমপিচমেন্টের মুখে পড়লেন ইওল। দক্ষিণ কোরিয়ার পার্লামেন্টের সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্য বুধবার জানিয়ে দিয়েছেন, ইওলকে ইমপিচ করার প্রক্রিয়া শুরু হবে। জানা গিয়েছে, প্রধান বিরোধী দল ডেমোক্রেটিক পার্টির পাশাপাশি ইওলের নিজের দল পিপল্স পাওয়ার পার্টির পার্লামেন্ট সদস্যদের একাংশও ইমপিচমেন্ট প্রক্রিয়ায় শামিল হয়েছেন।
আরও পড়ুন-মার্কিন-কানাডা সীমান্তে আটক অবৈধ অনুপ্রবেশকারীদের ২২ শতাংশই ভারতীয়, অস্বস্তির রিপোর্ট প্রকাশ
ইওল-বিরোধী জোটের নেতা হোয়াং উন হা বলেন, আগামী ৭২ ঘণ্টার মধ্যে ইমপিচমেন্ট প্রক্রিয়া নিয়ে আমরা ভোটাভুটি করতে চাই। প্রসঙ্গত, দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট ইওল মঙ্গলবার দুপুরে দেশে সামরিক আইন জারির কথা ঘোষণা করার পরেই দেশ জুড়ে বিক্ষোভ ও অশান্তি শুরু হয়। উত্তর কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট কিম জং উনের মদতে কমিউনিস্টদের নেতৃত্বে বিরোধীরা দক্ষিণ কোরিয়ার ক্ষমতা দখল করতে পারে বলে সামরিক আইন লাগুর ঘোষণা করেন ইওল। আইন বলবৎ করার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল সেনাপ্রধান জেনারেল পার্ক আন-সু-কে। কিন্তু তারপরই ৩০০ সদস্যের মধ্যে ১৯০ জন সামরিক আইন জারির বিরুদ্ধে পাল্টা প্রস্তাব পাশ করিয়েছিলেন পার্লামেন্টে। সাধারণ মানুষও রাজধানী সিওলে পার্লামেন্ট ভবনের সামনে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন। চাপের মুখে পিছু হঠলেও ওই পদক্ষেপের জন্য এবার প্রেসিডেন্টকে শাস্তি দিতে চায় পার্লামেন্ট।