প্রতিবেদন : অতি-বৃষ্টি ও ডিভিসির অবিবেচকের মতো জল ছাড়ার কারণে বন্যাবিধ্বস্ত দক্ষিণের বহু জেলা। উত্তরের জেলাও জলমগ্ন। এই পরিস্থিতিতে বনাদুর্গতদের পাশে দাঁড়িয়েছে রাজ্য। বুধবার নবান্নে বন্যাকবলিত জেলাগুলিতে ফসলের ক্ষয়ক্ষতি পর্যালোচনা বৈঠক হয়। কৃষিমন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় (Sovandeb Chatterjee) ভার্চুয়াল বৈঠক করেন দফতরের প্রধান সচিব ওঙ্কার সিং মীনা, কৃষি অধিকর্তা-সহ রাজ্যের সিনিয়র অফিসার ও জেলার কৃষি বিভাগের আধিকারিকদের নিয়ে। সেই বৈঠকে দুয়ারে ত্রাণ, রবিশস্য চাষে সহায়তায় বীজ ও সার সরবরাহ নিয়ে পর্যালোচনা হয়। সমস্ত ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক যাতে সহায়তা পান, তা নিশ্চিত করাই লক্ষ্য সরকারের।
আরও পড়ুন- আজ মুখ্যমন্ত্রী নবান্নয় বৈঠকে, রাত্তিরের সাথী নিয়ে পর্যালোচনা
মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় (Sovandeb Chatterjee) বলেন, ১২টি জেলা বন্যায় কম-বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বিঘার পর বিঘা জমির ফসল ভেসে গিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে আমাদের লক্ষ্য একজনও কৃষক যেন সরকারি সুবিধা প্রদান থেকে বাদ না পড়েন। তিনি এদিন ঘোষণা করেন, শীঘ্রই রাজ্য সরকারের তরফে দুয়ারে ত্রাণ কর্মসূচি নেওয়া হবে। সেখানে যদি কেউ বাদ পড়েন, তাঁরা উপযুক্ত প্রমাণ-সহ আবেদন করতে পারবেন। এই মর্মে প্রচার চালানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে এই বৈঠকে। প্রাথমিক হিসেব অনুযায়ী সাড়ে ৫ লক্ষ বিঘা জমির ফসল নষ্ট হয়েছে। সেই জমিতে বিকল্প হিসেবে কলাই, মুগ, সরষে-সহ অন্যান্য তৈলবীজ চাষে সহায়তা করবে সরকার। কৃষকদের বিনামূল্যে বীজ প্রদান করা হবে। এছাড়াও আগামী রবি মরশুমে আলু চাষের সময় সার সরবরাহ সুনিশ্চিত করারও নির্দেশ দেন কৃষিমন্ত্রী। তাঁর কথায়, সারি নিয়ে যেন কোনও অভিযোগ আর না শোনা যায়। এর আগে বাংলায় এই ম্যান-মেড বন্যায় কৃষকদের শস্য বিমা আওতায় আনার দিন বেঁধে দেন। বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত জেলাগুলিকে সেই নির্দেশ পাঠানো হয়। সেইমতো প্রস্তুতিও সারা। এদিন বন্যায় ক্ষয়ক্ষতি নিয়েও পর্যালোচনা হয়। খতিয়ে দেখা হয় জেলার পাঠানো রিপোর্ট।