শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় : কৃষকদের জীবন ও জীবিকা নিয়ে মিথ্যাচারের রাজনীতি করেছে বিজেপি। জীবন-জীবিকার লড়াই থেকে হাজারো দমন নীতি প্রয়োগ করলেও কৃষকদের আন্দোলন থেকে সরানো যায়নি। বিজেপি তথা নরেন্দ্র মোদির স্বৈরাচারী নীতির বিরুদ্ধে লাগাতার লড়াইয়ে জয় পেল ভারতবর্ষের কৃষকরা। মনে রাখবেন কৃষকদের এই ন্যায্য লড়াইয়ের সপক্ষে এবং কৃষি বিল বাতিলের দাবিতে বিজেপির বিরুদ্ধে প্রথম লড়াইয়ে নেমেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রেড রোডে বাংলার লড়াকু নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রতিবাদী আন্দোলনের চেহারা দেখেছিল গোটা দেশ। তিনিই প্রথম সাংসদদের দল তৈরি করে আন্দোলনকারী কৃষকদের কাছে পাঠিয়েছিলেন। অর্থাৎ যে ন্যায্য আন্দোলনকে সমর্থন করেছিলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী, পরবর্তীতে অন্যান্য রাজনৈতিক দল তাঁর মতামতকে মেনে নিয়ে সমর্থন জানিয়েছিল।
আরও পড়ুন : পূর্ব ভারতে প্রথম আয়ুর্বেদ কলেজ বেলুড়ে
মোদি সরকার চেয়েছিল কৃষি ব্যবস্থাকে পুঁজিবাদীদের হাতে তুলে দিতে। নতুন আইনে ছিল কৃষকদের নানান বাধা-নিষেধ। জীবন-জীবিকার প্রশ্নে যা ব্রিটিশ আমলে চুক্তি চাষ ও নীল করকে মনে করিয়ে দেয়। গোটা দেশ জুড়ে তিন মাসের বেশি সময় ধরে লাগাতার আন্দোলন চলেছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সেই আন্দোলনের পাশে ছিলেন আগাগোড়া। আমরা কেউ ভুলব না কৃষকদের আত্মত্যাগের কথা। কত কৃষক মারা গিয়েছেন। তাঁদের উপর জল কামান চালানো হয়েছে। এমনকী উত্তরপ্রদেশের মন্ত্রী-পুত্র গাড়ি চালিয়ে পিষে দিয়েছে কৃষকদের। এক কথায় বিজেপির স্বৈরাচারী চেহারা দেখেছিল গোটা দেশ। ধিক্কার উঠেছিল দেশ জুড়ে। আন্দোলনকারী কৃষকদের যেভাবে শীতের মধ্যে আটকে রাখা হয়েছিল দিল্লি সীমান্তে, তা প্রমাণ করে দেয় মোদি সরকার আর যাই হোক, কৃষক দরদি নয়। কৃষকদের হত্যাকারী। বাংলায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যেভাবে কৃষকদের আগলে রেখেছেন তা দেশের কাছে মডেল। রাজনীতি তো মানুষের জন্য। আর মোদির রাজনীতি হল পুঁজিবাদীদের জন্য। যার বিরুদ্ধে গর্জে উঠেছে দেশ এবং অবশ্যই কৃষকরা।