নবনীতা মণ্ডল, নয়াদিল্লি: হাতেখড়ি অনুষ্ঠান নিয়ে বাংলার বিরোধী দলের অবস্থান প্রসঙ্গে কী বলবেন? বাংলার রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোসের জবাব, শিক্ষা নিয়ে আমি কোনও উঁচু-নিচু ভেদাভেদ পছন্দ করি না। শিক্ষা সংক্রান্ত যেকোনও বিষয়ে যাঁরাই ডাকুন আমি তাঁদের পাশে থাকব। বাংলার মুখ্যমন্ত্রী সম্বন্ধে আপনি কী বলবেন? এবার আরও সাবলীল ভঙ্গিতে রাজ্যপাল বললেন, বর্তমান মুখ্যমন্ত্রীর নেতৃত্বে বাংলা আবার তার পুরনো গৌরব ফিরে পেতে চলেছে।
আরও পড়ুন-বিধায়ক হওয়ার পর স্কুল চত্বরেই আসেন না বিজেপি নেতা, সিতাইয়ে প্রবল বিক্ষোভ
হাতেখড়ি অনুষ্ঠানে বিজেপির একাংশ (তথাগত রায় ছিলেন) না এসে বাংলার ঐতিহ্যকে কার্যত ধুলোয় মিশিয়ে দিয়েছেন। রাজ্যপাল কেন জয় বাংলা বললেন সে নিয়েও বিজেপির চর্চা। অথচ দলের সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডা জয় বঙ্গাল প্রকাশ্য সভায় বললেন কিন্তু শুনতে পেলেন না প্রতিহিংসার রাজনীতি করা বিজেপির রাজ্য নেতৃত্ব। শুক্রবার রাইসিনা হিলসে বঙ্গীয় বিদ্যালয় অর্থাৎ বাংলা স্কুলে দাঁড়িয়ে রাজ্যপাল একইরকম সপ্রতিভ। বললেন, শিক্ষার জন্য আমাকে যতদূর যেতে হয়, যেতে রাজি আছি। কিন্তু ওইসব বিতর্ক নিয়ে কোনও মন্তব্য করব না।
বাংলাতে গিয়ে কেমন লাগছে? বোস বললেন, অসাধারণ অভিজ্ঞতা। বাংলার মানুষ, পরিবেশ, সংস্কৃতি অনুপ্রেরণা জোগায়। শুক্রবারই চাণক্যপুরী বঙ্গভবনে তাঁর লেখা শিশুদের বই নিয়ে আলোচনা করেন। তার আগে রাইসিনা হিলসের বাংলা স্কুলে আগাম কোনও নোটিশ না দিয়ে রাজ্যপাল চলে যান। প্রায় দু’ঘণ্টা সেখানে পড়ুয়াদের সঙ্গে কাটান। আলাদাভাবে কথা বলেন স্কুলের চতুর্থ শ্রেণির কর্মীর সঙ্গে। ক্লাস টেনের পড়ুয়াদের সঙ্গে তিনি বসে পড়েন শেক্সপিয়রের রচনা নিয়ে আলোচনা করতে। রাজ্যপালকে কাছে পেয়ে খুশি পড়ুয়ারাও। রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করেন কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী। বিগত কয়েক মাস ধরে তাঁর বক্তব্য আবার রাজ্য বিজেপির বিরোধী দলনেতার পছন্দ হচ্ছে না। ফলে এনিয়ে যে কম জলঘোলা হবে না তা বলার অপেক্ষা রাখে না।
আরও পড়ুন-রাজনৈতিক প্রতিহিংসায় কুৎসিত আক্রমণ নোবেলজয়ীকে, ভূলুণ্ঠিত বাংলার সম্মান
রাজ্যপালের মুখ্যমন্ত্রী সম্বন্ধে এই প্রশংসা নিশ্চিতভাবে বিজেপির অন্দরমহলে ফের ঝড় তুলবে। বোস কেন ধনকড়ের মতো হলেন না এনিয়ে গবেষণা চলছে রাজ্য বিজেপির দলবদলুদের মধ্যে। কিন্তু দিল্লির নেতারা যে রা কাটছেন না!