মৌসুমী হাইত, পশ্চিম মেদিনীপুর: ডেবরা ব্লকের ৭ নং মলিঘাটি গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত জোতহাড়ো প্রাথমিক বিদ্যালয়ে আমাদের পাড়া আমাদের সমাধান শিবির বসেছিল গত সোমবার। সেদিনের ক্যাম্পে পশ্চিম মেদিনীপুরের জেলাশাসক খুরশিদ আলি কাদরি উপস্থিত ছিলেন। শিবিরের পাশাপাশি স্কুলের পঠনপাঠন চলছিল।
আরও পড়ুন-চূড়ান্ত গাফিলতি! অসমে ফটোথেরাপির বেড থেকে পড়ে মৃত্যু সদ্যোজাতের
পরিদর্শনের সময় বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন দ্বিতীয় শ্রেণির পড়ুয়া পিউ দে-কে চোখে পড়ে জেলাশাসকের। মেয়েটি সম্পূর্ণ দৃষ্টিহীন এবং তার বাঁ হাতের আঙুলগুলো অসাড়। তার অভিভাবক জেলাশাসকের কাছে ভবিষ্যতে মেয়ের পড়াশোনার খরচ ও শারীরিক প্রতিবন্ধকতা কাটিয়ে ওঠার জন্য সরকারি সহযোগিতার অনুরোধ জানান। জেলাশাসক বিডিওকে বিষয়টি দেখতে এবং বাৎসল্য প্রকল্পে নাম অন্তর্ভুক্তির কথা বলেন। সঙ্গে সঙ্গে তার ও পিতা-মাতার আধার কার্ড, বইয়ের জেরক্স, মেয়েটির ফটো, আয়ের শংসাপত্র জোগাড় করা হয়। সেগুলি জেলাশাসকে মেল করে পাঠানো হয়। দু’দিন পরেই ওই পড়ুয়ার পিতার ব্যাংক অ্যাকাউন্টে আর্থিক সাহায্য ঢোকে। সেইমতো অর্ডারও পাস হয়েছে। ১৮ বছর পর্যন্ত প্রতি মাসে চার হাজার টাকা করে পাবে পিউয়ের পরিবার। এই টাকা তার পড়াশোনায় খরচ হবে। মেয়ের পড়ার টাকা দ্রুত পেয়ে খুশি পিউয়ের পিতা শংকর দে বলেন, জেলাশাসক, বিডিওর তৎপরতায় আমাদের জীবনে নতুন সূর্যোদয় হল।