প্রতিবেদন : শ্রোতাদের শাস্ত্রীয় সঙ্গীতের জ্ঞান আরও বিস্তার করতে এবার প্রপার মিউজিক্যাল অ্যাপ্রিশিয়েশন কোর্স শুরু করতে চলেছে রাজ্য সরকার। বাংলা সঙ্গীত একাডেমির সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে এই কোর্স চালু হবে বলে জানান তথ্য সংস্কৃতি দফতরের মন্ত্রী ইন্দ্রনীল সেন। এছাড়াও বাংলার শাস্ত্রীয় সংগীত নিয়ে প্রচার ও প্রসারের জন্য শুরু হবে প্রদর্শনী যা হবে ডিজিটালি। শাস্ত্রীয় সঙ্গীতে বাংলার দ্বার আরও উন্মোচিত করছে রাজ্য সরকার। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রশাসনিক দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই বিপুলভাবে বদলে গিয়েছে সাংস্কৃতিক জগতের চালচিত্র। তার দেখানো পথ ধরেই সংস্কৃতিতে এসেছে জোয়ার। সেই মতোই এবার শ্রোতাদেরকেও আরও শাস্ত্রীয় সঙ্গীত নিয়ে ঋদ্ধ করতে এই কোর্স চালু করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন-নির্বিঘ্নে গঙ্গাসাগর, পুণ্যস্নানে ১.১০ কোটি পুণ্যার্থী
বুধবার থেকে শুরু হল ক্লাসিক্যাল মিউজিক কনফারেন্স। এই নিয়ে দ্বিতীয় বর্ষে পা দিল এই অনুষ্ঠান। একতারা মুক্তমঞ্চে ১৫ থেকে ১৭ জানুয়ারি পর্যন্ত চলবে অনুষ্ঠান। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন তথ্য সংস্কৃতি দফতরের মন্ত্রী ইন্দ্রনীল সেন, বিখ্যাত তবলাবাদক তন্ময় বসু, পণ্ডিত হরিপ্রসাদ চৌরাসিয়া, পণ্ডিত অমিয়রঞ্জন বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঐকান্তিক উদ্যোগে শাস্ত্রীয় সংগীতকে শুধুমাত্র শাস্ত্রীয় সঙ্গীতপ্রেমী শ্রোতাদের কাছেই নয়, সাধারণ মানুষের কাছে আরও জনপ্রিয় করে তোলার জন্য মুক্তমঞ্চে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। এবারের ক্লাসিক্যাল কনফারেন্সের মূল আকর্ষণ পণ্ডিত হরিপ্রসাদ চৌরাসিয়া। নবীন প্রজন্ম যাতে শাস্ত্রীয় সংগীতের প্রতি আরও বেশি করে উৎসাহিত হয় তার জন্য সারাবছর ধরে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের তথ্য ও সংস্কৃতি বিভাগের অন্তর্গত পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সঙ্গীত আকাদেমি শাস্ত্রীয় সংগীতের প্রচার ও প্রসারের জন্য নিরন্তরভাবে কাজ করে থাকে। ইন্দ্রনীল সেন জানান, ভারতে প্রথম বাংলাই এই ধরনের কোর্স চালু করছে রাজ্য সঙ্গীত একাডেমি ৪২ জন সদস্য সব সময়ই এই নিয়ে মূল্যবান পরামর্শ দিচ্ছেন। মুখ্যমন্ত্রী যা চেয়েছিলেন তাই আমরা করতে পেয়েছি। সংস্কৃতির গেটওয়ে হিসেবে পরিণত হয়েছে বাংলা। এ-বছরও সঙ্গীত সম্মেলনে স্বনামধন্য প্রবীণ শিল্পীদের সঙ্গে নবীন শিল্পীরাও অংশগ্রহণ করবেন। এ ছাড়াও থাকবে বাংলার রাগসঙ্গীত-বিষয়ক একটি প্রদর্শনী। রাজ্যে ২০২২ সাল থেকে ডিস্ট্রিক্ট ক্লাসিক্যাল মিউজিক্যাল ফেস্টিভ্যাল করে আসছে। এ-বছর জানুয়ারি থেকে মার্চ মাসের মধ্যে চন্দননগর, দুর্গাপুর, মেদিনীপুর, শিলিগুড়ি, বহরমপুর, সিউড়ি— এই ছয় জেলায় অনুষ্ঠিত হবে।