সংবাদদাতা, কাঁথি : কাঁথি প্রভাতকুমার কলেজের ভবন নির্মাণদুর্নীতির তদন্তে এল জেলা প্রশাসনের পাঁচ সদস্যের এক প্রতিনিধি দল। পূর্ব মেদিনীপুরের অতিরিক্ত জেলাশাসক শ্বেতা আগরওয়াল, মহকুমা শাসক রেণু সোগান ছাড়াও বিশেষজ্ঞ ইঞ্জিনিয়ারদের নিয়ে এই প্রতিনিধি দল এদিন বেলা ১২টা ১০ মিনিট নাগাদ কাঁথি কলেজে আসে।
আরও পড়ুন-দাদার বিরুদ্ধে কেউ কিছু বলেনি যা হয়েছে সবই ওঁর সঙ্গে আলোচনা করে : ধুমল
সরাসরি তাঁরা অধ্যক্ষ অমিতকুমার দে-র অফিসে যান। দরজা বন্ধ করে অধ্যক্ষকে জিজ্ঞাসাবাদ চালান। উচ্চপর্যায়ের তদন্তের জন্য কাঁথি থানার পুলিশের হাত থেকে জেলাশাসক পূর্ণেন্দু মাজিকে তদন্তের নির্দেশ ইতিপূর্বে দিয়েছিলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারক তীর্থঙ্কর ঘোষ। তিনি জেলাশাসককে পূর্ণাঙ্গ তদন্ত করে দুর্নীতির সঙ্গে যারা যুক্ত সকলের বিরুদ্ধে তদন্তের রিপোর্ট ৪ নভেম্বরের মধ্যে হাইকোর্টে জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন। ২০১৭-২০ সালের মধ্যে প্রভাতকুমার কলেজের বিল্ডিং নির্মাণে আর্থিক দুর্নীতি হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছিল। সেই সময় বিরোধী দলনেতার ছোট ভাই তথা বিজেপির কাঁথি সাংগঠনিক জেলার সম্পাদক সৌমেন্দু অধিকারী পরিচালন কমিটির সভাপতি ছিলেন।
আরও পড়ুন-সরকারি প্রকল্প নিয়ে বাড়ি বাড়ি সমীক্ষা করবে রাজ্য
হাইকোর্টের আইনজীবী আবু সোহেল দুর্নীতি নিয়ে কাঁথি থানায় অভিযোগ জানান। তাঁর অভিযোগ, প্রায় তিন থেকে চার কোটি টাকার দুর্নীতি হয়েছে এবং টেন্ডার ছাড়াই বিল্ডিং করা হয়েছে। ইচ্ছেমতো ঠিকাদার নিয়োগ করা হয়েছে। এমনকী, প্ল্যান ছাড়াই বিল্ডিং হয়েছে। এ নিয়ে সৌমেন্দু অধিকারীর প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।