সংবাদদাতা, হাওড়া : উৎসবের পরে পরীক্ষাতেও। দুর্গাপুজোয় তো বটেই, গোটা উৎসবের মরশুমেই মানুষের পাশে ছিলেন যুব তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা। হাওড়া জেলা(সদর) যুব তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি কৈলাস মিশ্রের নেতৃত্বে যুব তৃণমূলের কর্মীরা ‘অভিষেকের দূত’ হিসেবে রাস্তায় নেমে মানুষের পাশে ছিলেন। এবার তাঁরাই হাওড়া জেলা জুড়ে ‘অভিষেকের দূত’ হিসেবে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের পাশে দাঁড়াচ্ছেন। এখন থেকেই প্রতিটি এলাকায় বাড়ি বাড়ি গিয়ে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের হাতে পেন, পেনসিল, জ্যামিতি বাক্স, পরীক্ষার বোর্ড সহ বিভিন্ন সামগ্রী তুলে দিয়ে শুভেচ্ছা জানাচ্ছেন তাঁরা। সেইসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি সম্বলিত ছাপানো শুভেচ্ছাবার্তাও হাওড়ার প্রত্যেক মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার্থীকে দিচ্ছেন ‘অভিষেকের দূত’রা।
আরও পড়ুন-মাধ্যমিক পরীক্ষা শুরু হতে বাকি একসপ্তাহ, চালু হল পর্ষদের কন্ট্রোল রুম
শুক্রবার সাধারণতন্ত্র দিবস থেকেই হাওড়া সদরে এই কর্মসূচি শুরু করে দিলেন ‘অভিষেকের দূত’ হিসেবে কাজ করা যুব তৃণমূলের কর্মীরা। এদিন উত্তর হাওড়ার ৭ নম্বর ওয়ার্ডে যুব তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মীরা ‘অভিষেকের দূত’ হিসেবে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের বাড়ি বাড়ি পৌঁছে যান। তাঁদের শুভেচ্ছা জানিয়ে পরীক্ষার বিভিন্ন সামগ্রী তুলে দেন। হাওড়া জেলা(সদর) যুব তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি কৈলাস মিশ্র জানান, পরীক্ষার আগে আমরা প্রত্যেক মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার্থীর বাড়িতে গিয়ে যেমন শুভেচ্ছা জানাচ্ছি তেমনি পরীক্ষার দিনগুলিতে রাস্তায় নেমে ওঁদের সাহায্যে সবসময় পাশে থাকব। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে পরীক্ষার্থীরা যাতে পরীক্ষাকেন্দ্রে পৌঁছে যেতে পারেন সেই দিকেও নজর থাকবে আমাদের। এই জন্য পরীক্ষার্থীদের পরীক্ষাকেন্দ্রে পৌঁছে দেওয়ার জন্য আমরা বিনামূল্যে টোটো পরিষেবার ব্যবস্থা রাখছি। এছাড়াও যুব তৃণমূলের কর্মীরা ‘অভিষেকের দূত’ হিসেবে রাস্তায় থাকবেন। পরীক্ষাকেন্দ্রে যাতায়াতের পথে কেউ কোনও অসুবিধায় পড়লে তৎক্ষণাৎ তাঁদের সাহায্যে পাশে থাকবেন ‘অভিষেকের দূত’রা। পরীক্ষার দিনগুলিতে হাওড়ার সব এলাকাতেই রাস্তায় থাকবেন ‘অভিষেকের দূত’রা।’