অন্ধকার সুড়ঙ্গে ১২ দিন পরেও ভিতরে আটকে রয়েছেন আট জন শ্রমিক এবং ইঞ্জিনিয়ার। জীবিত না মৃত অবস্থায় জানা যাচ্ছে না। তবু চেষ্টার ত্রুটি নেই। এবার উদ্ধারকাজে যোগ দিল কেরল পুলিশের (Kerala Police) বিশেষ প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত কুকুর। এই কুকুর সহজেই মানবদেহ বা দেহাংশ খুঁজে বের করতে পারে। বৃহস্পতিবার সকালে কেরল সরকারের তরফে জানানো হয়েছে, পুলিশকর্মীরা মৃতদেহ অনুসন্ধানে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত এই কুকুর নিয়ে তেলঙ্গানার উদ্দেশে রওনা হয়ে গিয়েছেন। রাজ্য এবং জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা দলের যৌথ অনুরোধে এই বিশেষ পুলিশ কুকুর পাঠানো হচ্ছে। জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর এক অধিকর্তা এই মর্মে জানিয়েছেন, আটকে পড়া শ্রমিকদের কাছে পৌঁছনোর জন্য ১২টি সংস্থা দিনরাত কাজ করছে। রাজ্য এবং কেন্দ্রীয় সরকার দেশের বিভিন্ন বিশেষজ্ঞকে পাঠিয়েছে তবু সবকিছুই বিফলে যাচ্ছে। সুড়ঙ্গের মধ্যে জমে থাকা জল এবং কাদার স্তরের ফলে কোনমতেই শ্রমিকদের কাছে পৌঁছনো সম্ভব হচ্ছে না।
আরও পড়ুন-যোগীরাজ্যে কর্তব্যে গাফিলতির আজব ব্যাখ্যা কনস্টেবলের
প্রসঙ্গত, ২২ ফেব্রুয়ারি সকাল সাড়ে ৮টা নাগাদ তেলঙ্গানার ৪৪ কিলোমিটার দীর্ঘ শ্রীশৈলম সুড়ঙ্গের একাংশ হঠাৎ ধসে পড়ে। সাড়ে ১৩ কিলোমিটার ভিতরে আটজন শ্রমিক আটকে পড়েন। তাঁদের উদ্ধারের জন্য প্রায় ৫০০ জন উদ্ধারকারী কাজ করে চলেছেন। এই ১২ দিন ধরে বিভিন্ন ভাবে চেষ্টা করা হয়েছে। কিন্তু এখনও শ্রমিকদের অবস্থান জানা সম্ভব হয়নি।