প্রতিবেদন : নির্ধারিত সময় পেরিয়ে যাওয়ার পরেও যাঁরা করোনা টিকার দ্বিতীয় ডোজ নেননি, তাঁদের খোঁজে বিশেষ সমীক্ষা শুরু করছে রাজ্য সরকার। তাঁদের সন্ধান করে টিকাকরণ দ্রুত সম্পন্ন করার জন্য জেলা প্রশাসনকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। চলতি বছরের মধ্যে রাজ্যবাসীকে কোভিড ভ্যাকসিনের অন্তত একটি করে ডোজ দেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছে রাজ্য। সেই লক্ষ্যেই এই উদ্যোগ বলে নবান্ন সূত্রে জানা গিয়েছে। একই সঙ্গে টিকাকরণে গতি আনতে বাড়ি বাড়ি গিয়ে অসুস্থ ও শয্যাশায়ীদের টিকার ডোজ দেওয়ার উদ্যোগও নিতে চলেছে রাজ্য সরকার। কোথাও টিকা সরবরাহে ঘাটতির কারণে টিকাদানের গতি ব্যাহত হচ্ছে কি না সে সম্পর্কেও তথ্য চাওয়া হয়েছে নবান্নের তরফে। প্রশাসনিক সূত্রের খবর, সম্প্রতি রাজ্যে করোনা টিকাকরণ কর্মসূচি নিয়ে সমস্ত জেলার জেলাশাসকদের সঙ্গে বৈঠক করেন মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী।
আরও পড়ুন : Eden t20 : নন্দনকাননে হিটম্যানের লক্ষ্য ক্লিন সুইপ, সাউদির সম্মান
সেখানে তিনি বলেন, টিকার প্রথম ডোজ নেওয়ার পরে দ্বিতীয় ডোজ নেওয়ায় অনীহা দেখা যাচ্ছে । সময় পেরিয়ে গেলেও তাঁরা দ্বিতীয় ডোজ নিচ্ছেন না। বাড়ি বাড়ি গিয়ে এরকম ব্যক্তিদের খোঁজ করে তালিকা তৈরির জন্য তিনি জেলা প্রশাসনকে নির্দেশ দেন। দ্রুত এঁদের টিকাকরণের কাজ শেষ করতে একটি পরিকল্পনা তৈরি করা হবে। স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, টিকার প্রথম ডোজ নেওয়ার পরে সময় পেরিয়ে গেলেও দ্বিতীয় ডোজ নেননি এমন কোভ্যাকসিন টিকা প্রাপকের সংখ্যা ৪ লাখ ৮০ হাজার, ১৩ লাখের বেশি মানুষ নির্ধারিত সময়ে কোভিশিল্ডের টিকা নেননি। জানা গিয়েছে মোবাইল, আধার নম্বর সংক্রান্ত নথিতে গোলমালের দরুন অনেকের টিকার দ্বিতীয় ডোজ পেতে অসুবিধা হচ্ছে। অনেকে দ্বিতীয় ডোজ নিলেও তাঁর নাম সরকারি পোর্টালে ওঠেনি। এজন্যই বাড়ি বাড়ি গিয়ে সমীক্ষা করার উদ্যোগ। রাজ্যে এখনও পর্যন্ত ৬ কোটি মানুষ করোনা টিকার প্রথম ডোজ পেয়েছেন। কলকাতায় প্রথম ও দ্বিতীয় ডোজ মিলিয়ে টিকাকরণের হার দেড়শো শতাংশের বেশি।