অপরাজিতা জোয়ারদার, রায়গঞ্জ: মুখমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্বনির্ভর গোষ্ঠী তৈরি ও পৃষ্ঠপোষকতা করে মেয়েদের আর্থিকভাবে শক্তিশালী করতে তুলতে চান। তাঁর উদ্যোগেই জেলায় জেলায় গড়ে উঠেছে স্বনির্ভর গোষ্ঠী। ক্রমশ তাদের জয়জয়কার চারিদিকে। বিশ্ববাংলা ব্র্যান্ডের আচার, কাসুন্দি কিনতে ভিড় বাড়ছে বড় বড় শপিং মলে। নামীদামি প্রোডাক্টের পাশাপাশি রাখা স্বনির্ভর দলের তৈরি এই সব সামগ্রী সাগ্রহ কিনছেন ক্রেতারা। রাজ্য জুড়ে বিভিন্ন জেলায় স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলারা তৈরি করছেন নানা হস্তশিল্প সামগ্রী। এছাড়াও মশলা, পাঁপড়, আচার, ডালের বড়ি, কাসুন্দি বাড়িতেই তৈরি করছেন অনেকে। এই সব ছোট ছোট আকারে তৈরি সামগ্রী পদ্ধতি মেনে প্যাকেটিং করা হচ্ছে সরকারিভাবে।
আরও পড়ুন-চন্দননগরে ৬০ টনের লৌহরথ
ইসলামপুর মহকুমা উদ্যানপালন ও খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ দফতরের আধিকারিক অনীক মজুমদার জানান, ‘‘সরকারি ভরতুকিতে বিভিন্ন খাদ্যসামগ্রী প্যাকেজিং করার মেশিন কেনার সুযোগ থাকছে আগ্রহীদের। খাদ্যগুণমান বজায় রেখে স্বনির্ভর গোষ্ঠীর নির্মিত হলুদ, যে কোনও ধরনের গুঁড়ো মশলারও প্যাকেজিং করে তার বিপণন সম্ভব। সেক্ষেত্রে আরও আর্থিকভাবে লাভবান হবে স্বনির্ভর দলগুলি। উত্তর দিনাজপুর জেলার ইসলামপুর মহকুমাতে খুব শিগগিরই এই ধরনের একটি মশলা প্যাকেজিংয়ের মেশিন বসানো হবে।’’ বিশ্ববাংলা ব্র্যান্ডের জিনিসও এভাবেই স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলাদের হাতে তৈরি। গুণগতমানও যথেষ্ট ভাল। খাদ্যগুণ বিচারে এই সব জিনিসের চাহিদাও রয়েছে ভাল। এই জিনিসগুলি মুলত সৃষ্টিশ্রীতে পাওয়া গেলেও সাধারণ মানুষের মধ্যে এর জনপ্রিয়তাকে মাথায় রেখে বিভিন্ন বড় শপিং মলেও বিক্রি বাড়ছে। জনপ্রিয়তায় নামীদামি ব্র্যান্ডের থেকে অনেকটাই এগিয়ে বিশ্ববাংলা।