তারাপীঠ (Tarapith) থেকে পুজো দিয়ে এক তরুণী ও তাঁর পরিবার কলকাতায় ফিরছিলেন। বোলপুর স্টেশনে ১৫-১৬ জনের একটি যুবকের দল ট্রেনে উঠে বসার জায়গা দাবি করে। এরপরেই ট্রেনে সিটে বসা নিয়ে কথা কাটাকাটি শুরু হয়। তরুণীর পরিবারের সকলেই মহিলা তাই তারা কোনও প্রতিবাদ না করে চুপচাপ ট্রেনে বসে থাকে। ঠিক সেই সময় এই পরিবারের বয়স্ক মহিলা সদস্যের মুখে লাথি মারে এক যুবক। শুধু তাই নয়, তারাপীঠ থেকে পুজো দেওয়া প্রসাদের বাক্সও ট্রেন থেকে ফেলে দেওয়া হয়। পরিবারের কনিষ্ঠ এক মহিলা সদস্য এই ঘটনার প্রতিবাদ করলে তার পরার জ্যাকেট ছিঁড়ে ফেলা হয় এবং রীতিমত মারধর করা হয়। পরিস্থিতি উত্তপ্ত দেখে অন্যান্য মহিলারা এলে তাঁদের গায়েও হাত দেওয়া হয় বলে অভিযোগ করেন এই তরুণী।
আরও পড়ুন-আজ মরসুমের শীতলতম দিন কলকাতায়
এবার ট্রেনে তরুণী ও তাঁর পরিবারকে মারধরের ঘটনায় স্বতঃপ্রণোদিত মামলা দায়ের করল জাতীয় মহিলা কমিশন। তাছাড়া রেলকে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে আবেদন জানালেন অর্চনা মজুমদার। যদিও ইতিমধ্যেই প্রশ্ন উঠছে সেই সময় কেন ছিল না কোন রেল পুলিশ। নিরাপত্তারক্ষীরা কোথায় ছিলেন? এমন একটি ট্রেনে দীর্ঘক্ষণ ধরে মহিলাদের ওপর অত্যাচার হওয়ার পরেও কেন নেওয়া হল না কোন ব্যবস্থা। তবু রেলের তরফে জানানো হয়েছে গোটা বিষয়ের তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। তরুণীর থেকে ট্রেনের টিকিট নম্বর নাম জানতে চেয়েছে রেল। জাতীয় মহিলা কমিশনের সদস্যা অর্চনা মজুমদার এই মর্মে জানান এই ঘটনা থেকে প্রমাণিত ভারতীয় রেলে আইন শৃঙ্খলা কোথায় গিয়ে পৌঁছেছে। রেলওয়ে কী কাজ করছে? কেন ঘটল? দোষীরা বেরিয়ে কেন গেল? সেই প্রশ্নও তোলেন তিনি।
আরও পড়ুন-কাজে আলস্য, মোদীরাজ্যে নিজের হাতের চারটে আঙুল কাটলেন যুবক
পূর্ব রেলের পিআরও দীপ্তিময় দত্ত যদিও জানিয়েছেন সমস্ত ট্রেনের পুলিশ স্কোয়াড থাকে। মহিলা কামরায় পুরুষ যাত্রী উঠলে পদক্ষেপ করা হয়। তার মধ্যেও বিচ্ছিন্ন ঘটনা ঘটে। পদক্ষেপ অবশ্যই করা হবে। তবে শুধু বিচ্ছিন্ন ঘটনা বলেই তো এড়িয়ে যাওয়া যায় না। মহিলা কামরায় [পুরুষ উঠে এভাবে তান্ডব চালানোর পরেও আসেনি কোন পুলিশ স্কোয়াড। নেওয়া হয় নি কোন পদক্ষেপ। শুধু তাই নয়, অভিযুক্তরা কেউই এখনো পুলিশের জালে ধরা পড়েনি।