চেন্নাই, ১৯ ডিসেম্বর : বৃহস্পতিবার সকালেই ব্রিসবেন থেকে দেশে ফিরলেন রবিচন্দ্রন অশ্বিন। ২৪ ঘণ্টা আগেই আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় জানানো অশ্বিনকে নিয়ে চেন্নাই বিমানবন্দরে ভক্তদের মাতামাতি ছিল চোখে পড়ার মতো।
বুধবার রাতেই দেশে ফেরার বিমান ধরেছিলেন অশ্বিন (Ravichandran Ashwin)। হাতে সময় কম থাকায়, তাঁকে কোনও বিদায়ী সংবর্ধনা দিতে পারেনি ভারতীয় শিবির। এদিন অশ্বিনকে স্বাগত জানাতে চেন্নাই বিমানবন্দরে উপস্থিত ছিলেন তাঁর বাবা-মা, স্ত্রী পূজা এবং দুই কন্যা। ছিলেন অন্যান্য আত্মীয়রাও। আর ভক্তরা তো রীতিমতো ঢাক-ঢোল পিটিয়ে, ফুলের পাপড়ি ছিটিয়ে তাঁকে বরণ করেন। তবে বিমানবন্দরে উপস্থিত মিডিয়ার সঙ্গে কোনও কথা বলেননি অশ্বিন। ভক্তদের উদ্দেশ্যে হাত নেড়ে দ্রুত গাড়িতে উঠে যান।
পরে নিজের বাড়িতে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ‘‘আমি ভাবতেও পারিনি বিমানবন্দরে এত মানুষ আসবেন। ২০১১ সালের বিশ্বকাপ জয়ের স্মৃতি মনে পড়ে গেল।’’ তবে নিজের সিদ্ধান্ত নিয়ে কোনও আক্ষেপ নেই অশ্বিনের (Ravichandran Ashwin)। তাঁর সোজাসাপটা বক্তব্য, ‘‘মানুষের আবেগকে সম্মান করি। তবে ধীরে ধীরে সব সয়ে যাবে। আমার কাজ শেষ। অবসরের সিদ্ধান্ত নিয়ে আমার কোনও আক্ষেপ নেই। বরং এটা আমার কাছে তৃপ্তি ও শান্তির ব্যাপার। আমি অনেক মানুষকেই দেখেছি, দূর থেকে আক্ষেপ করতে। আমি সেভাবে জীবন কাটাতে চাই না।’’
আরও পড়ুন- একগুচ্ছ কর্মসূচি, ফের পথে নামছে মহিলা তৃণমূল কংগ্রেস
অশ্বিন আরও বলেছেন, ‘‘অবসরের সিদ্ধান্তটা খুবই স্বতঃস্ফূর্ত ছিল। বেশ কিছুদিন ধরেই চিন্তাটা মাথায় ঘুরছিল। ক্রিকেট জীবনে আমরা অনেক ঘটনার মধ্যে দিয়ে যাই। সাধারণত ঘুমোতে যাওয়ার আগে উইকেট নেওয়া বা রান করার স্মৃতি আমার মাথায় ঘোরে। তবে
ইদানীং তেমন কোনও মুহূর্ত মাথায় ঘুরছিল না। ব্রিসবেন টেস্টের চতুর্থ দিন মানে, এবার কঠিন সিদ্ধান্তটা নিতে হবে। পরের দিনই অবসরের কথা জানিয়ে দিই।’’
আপাতত কয়েকটা দিন বিশ্রাম নিতে চান। তার পর অশ্বিনের চোখ আইপিএলে। তিনি বলছেন, ‘‘এই মুহূর্তে কোনও পরিকল্পনা নেই। তবে চুপ করে বসে থাকার মানুষ আমি নই। চেন্নাই সুপার কিংসের হয়ে খেলব। সিএসকের হয়ে আমাকে দীর্ঘদিন খেলতে দেখলে অবাক হবেন না। ক্রিকেটার অশ্বিন শেষ হয়ে যায়নি। শুধু ভারতীয় দলের ক্রিকেটার হিসাবে অশ্বিনের সফর শেষ হয়েছে।’’