অসংগঠিত ক্ষেত্রের শ্রমিকদের স্বার্থরক্ষার জন্য মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বাধীন সরকার কীভাবে সাফল্যের সঙ্গে এগিয়ে চলেছে তা তুলে ধরলেন শিল্পমন্ত্রী ডাঃ শশী পাঁজা। বুধবার শ্রমিক মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মন্ত্রী বলেন, অসংগঠিত ক্ষেত্রের শ্রমিকদের সামাজিক সুরক্ষা রাজ্যের অগ্রাধিকারের প্রথম দিকে। শ্রমিকদের এবং তাঁদের পরিবারের সামাজিক সুরক্ষা, স্বাস্থ্যসুরক্ষা, শিক্ষার মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলি একই ছাতার নিচে এনে পরিকল্পনা ও তার দ্রুত রূপায়ণ করছে রাজ্য। শুধু তাই নয়, শ্রমিকদের যোগ্যতা অর্জন এবং বৃদ্ধির লক্ষ্যেও অত্যাধুনিক প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। বিনা খরচে স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করা হয়েছে।
আরও পড়ুন- ফুটপাথে রাত্রিবাস নয়, মেয়রের নির্দেশে কড়া পদক্ষেপ
এখানেই শেষ নয়, কাজের প্রয়োজনে যেসব শ্রমিক অন্য রাজ্যে যাচ্ছেন তাঁদের নিরাপত্তার জন্য ‘সেফ মাইগ্রেশন’ বিশেষ গুরুত্ব পাচ্ছে। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে শ্রমমন্ত্রী মলয় ঘটক বাম আমলে শ্রমিকদের দুর্দশার চিত্র তুলে ধরেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিশেষ উদ্যোগে এখন রাজ্যের শ্রমিক সমাজ কতটা সুরক্ষিত তা ব্যাখ্যা করেন। আইএনটিটিইউসির রাজ্য সভাপতি ও পশ্চিমবঙ্গ নির্মাণ পর্ষদের চেয়ারম্যান ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর ভাষণে বিশেষ জোর দেন শ্রমিক কল্যাণের রাজ্যের ভূমিকায়। পরিসংখ্যান দিয়ে তিনি তুলে ধরেন বিভিন্ন কল্যাণমূলক প্রকল্পে কেমন করে উপকৃত হয়েছে শ্রমিক সমাজ। আজকের মেলার ৩০ জনকে ২২.৬৭ লক্ষ টাকা তুলে দেওয়া হয়। ২১২ জনকে দেওয়া হয় ৮৮ লক্ষ টাকা। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিধায়ক স্বর্ণকমল সাহা এবং অতিরিক্ত শ্রম কমিশনার তীর্থঙ্কর সেনগুপ্ত। রামলীলা ময়দানে এই শ্রমিক মেলার আয়োজক রাজ্যের শ্রম দফতর। নির্মাণ, পরিবহন-সব বিভিন্ন অসংগঠিত ক্ষেত্রের শ্রমিক কল্যাণ এই মেলা। স্বনিযুক্তি প্রকল্পে উৎসাহিত করাও এই মেলার অন্যতম লক্ষ্য।