গতকাল অর্থাৎ শনিবার রাতে শ্রীনগরের (Srinagar) তাপমাত্রা ছিল মাইনাস ৮.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর, ভূস্বর্গের গ্রীষ্মকালীন রাজধানীতে গত ৫০ বছরে এত ঠান্ডা পড়েনি। ১৯৭৪ সালের ডিসেম্বরে শীতলতম রাতে তাপমাত্রা মাইনাস ১০.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছিল। শুক্রবারের রাত ছিল শ্রীনগরের তৃতীয় শীতলতম রাত।
আরও পড়ুন-ভক্তদের ‘ভদ্র পোশাক’ পরার নির্দেশ বৃন্দাবনের মন্দির কর্তৃপক্ষর
গতকাল রাতে জম্মু-কাশ্মীরের বেশ কয়েকটি জায়গায় জাঁকিয়ে ঠান্ডা পড়েছিল। তাপমাত্রা মাইনাস ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নীচে ছিল। সোপিয়ানে মাইনাস ১০.৪ ডিগ্রি, অনন্তনাগের তাপমাত্রা ছিল মাইনাস ১০.৫ ডিগ্রি, পুলওয়ামায় ছিল মাইনাস ১০.৩ ডিগ্রি। শনিবার থেকে উপত্যকায় চিলাই-কালানের সূচনা হয়েছে। জম্মু-কাশ্মীরে ডিসেম্বর মাসের শেষ থেকে ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত প্রবল শীতের প্রথম ৪০ দিনকে চিলাই-কালান বলা হয়। পরের ২০ দিন চিলাই-খুর্দ ও তারও পরের ১০ দিন (২০ ফেব্রুয়ারি থেকে ২ মার্চ) সময়কে চিলাই-বাচ্চা বলা হয়।
স্বাভাবিকভাবেই প্রবল ঠান্ডার ফলে সমস্যা বাড়ছে সাধারণ মানুষের। জলের পাইপ জমে বরফ হয়ে যাচ্ছে। বিদ্যুৎ সরবরাহ পর্যাপ্ত নয় তাই ঘর গরম রাখতে মাটির উনুন ভরসা। ডাল লেক-সহ জলাশয়গুলি জমে গিয়েছে। অসুস্থ হয়ে পড়ছে শিশু থেকে বয়স্ক অনেকেই। এছাড়া বেশ কয়েকটি জায়গায় একটানা বিদ্যুৎ নেই। তাই বুখারি অর্থাৎ গ্যাসচালিত হিটার আর কাংরি আর্যট মাটির উনুন এর সাহায্যে ঘর গরম রাখতে হচ্ছে। বরফ পড়লে শুষ্ক-শীতল বাতাসের টান কিছুটা হলেও কমবে। আজ-কালের মধ্যে কাশ্মীরের উঁচু এলাকাগুলিতে হালকা তুষারপাত হতে পারে বলে খবর। ২৭-২৮ ডিসেম্বরের রাতে বরফ পড়তে পারে।