প্রতিবেদন : অযোগ্যদের জন্য যোগ্য প্রার্থীদের চাকরি যেতে পারে না৷ স্কুল সার্ভিস কমিশনের (SSC) ২৬,০০০ চাকরি মামলায় এদিন এমনটাই সওয়াল করলেন চাকরি হারানো প্রার্থীদের আইনজীবীরা। কিন্তু সব শুনে শুনানি শেষে রায়দান স্থগিত করল সুপ্রিম কোর্ট৷ সোমবার শীর্ষ আদালতের প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খান্নার নেতৃত্বাধীন বেঞ্চে দু’ঘণ্টা ধরে এই মামলার শুনানি হয়৷ এরপরে প্রধান বিচারপতি জানান, তাঁরা মামলার রায় রিজার্ভ করছেন৷ রাজ্যের ২৬ হাজার চাকরি বাতিল মামলায় আসল তথ্য জানা প্রায় অসম্ভব হয়ে দাঁড়িয়েছে। মামলার শুনানি শেষে এমনটাই পর্যবেক্ষণ প্রশ্ন বিচারপতির। সরকারের তরফে আইনজীবী জানান, এতজন শিক্ষকের চাকরি বাতিল হলে রাজ্যের শিক্ষাব্যবস্থা ভেঙে পড়তে পারে।
আরও পড়ুন-পাঞ্জাবে অপারেশন লোটাস? ষড়যন্ত্র রুখতে বিশেষ বৈঠক কেজরিওয়ালের
চাকরি হারানো বিভিন্ন প্রার্থীর আইনজীবীরা তাঁদের সওয়ালে এদিন দাবি করেন, অযোগ্যদের জন্য যোগ্য প্রার্থীদের চাকরি যেতে পারে না৷ স্কুল সার্ভিস কমিশনের নিয়োগে ৫০০০ জনের ক্ষেত্রে দুর্নীতি হয়ে থাকলে সেই দুর্নীতিগ্রস্তদের খুঁজে বার করে যোগ্য ব্যক্তিদের চাকরিতে বহাল রাখা হোক, দাবি জানান তাঁরা৷ ৫০০০ দুর্নীতিগ্রস্তর জন্য ২৬০০০ লোকের চাকরি যেতে পারে না৷ এই প্রসঙ্গেই সংবিধানের ১৪, ২১ ধারার প্রসঙ্গ তুলে ধরে সওয়াল করেন অভিষেক মনু সিংভি, শ্যাম দিওয়ান, মানেকা গুরুস্বামী, রাকেশ দ্বিবেদী এবং অন্যান্য আইনজীবী৷ সু্প্রিম কোর্টেরই বিভিন্ন পুরনো মামলার রায় তুলে ধরে তাঁরা দাবি জানান, কিছু সংখ্যক দুর্নীতিগ্রস্তর জন্য পুরো প্যানেল বাতিল করা যায় না৷ ১৮ জন অন্ধ শিক্ষকের হয়ে সওয়াল করতে গিয়ে বর্ষীয়ান আইনজীবী এস মুরলীধর দাবি করেন, এই শিক্ষকরা দুর্নীতিগ্রস্ত না হওয়া সত্ত্বেও তাঁদের চাকরি অন্যায়ভাবে বাতিল করা হয়েছে৷ যোগ্য-অযোগ্যদের বাছাই করা সম্ভব, এদিনের শুনানিতে ফের দাবি জানান স্কুল সার্ভিস কমিশনের তরফে সওয়াল করা প্রবীণ আইনজীবী জয়দীপ গুপ্ত৷
প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খান্না সাফ জানান, যেখানে অরিজিনাল ওএমআর শিট খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না, সেখানে সিবিআইয়ের এই দাবি পুরোপুরি গ্রহণযোগ্য নয়৷ সিবিআইয়ের ভূমিকা নিয়ে এদিনের শুনানিতে প্রশ্ন তুলেছেন বর্ষীয়ান আইনজীবী দুষ্মন্ত দাভে, মানেকা গুরুস্বামী এবং পিএস পাটোয়ালিয়াও৷ কুণাল ঘোষ সাফ জানান, যারা যোগ্য তাদের একজনেরও যেন চাকরি না যায়। সিপিএম এবং বিরোধীরা চেষ্টা করছে যোগ্যদেরও চাকরি খেতে। এর প্রতিবাদ হওয়া উচিত। বিকাশ ভট্টাচার্যরা চেষ্টা করছেন যোগ্যদের চাকরি বাতিল করতে। এসএলএসটি নিয়োগের ক্ষেত্রেও সিপিএম জট পাকিয়ে রেখেছে। এরা চাইছে ইস্যু তৈরি করে কর্মপ্রার্থীদের রাজনৈতিক অনিশ্চয়তার মধ্যে ফেলতে।