প্রতিবেদন : পশ্চিমবঙ্গের স্কুল সার্ভিস কমিশন (SSC) যেভাবে স্বচ্ছতা ও নিরপেক্ষতার সঙ্গে কাজ করে সেইরকম আর কোনও রাজ্যের স্কুল সার্ভিস কমিশন করে না। বৃহস্পতিবার সাফ জানিয়ে দিলেন শিক্ষা মন্ত্রী ব্রাত্য বসু। এরা যে এসএসসির যেভাবে কার্বন কপি প্রকাশ করছে, উত্তরপত্র প্রকাশ করছে, পরীক্ষার্থীদের উত্তরপত্রে ভুল থাকলে চ্যালেঞ্জ করার সুযোগ দিচ্ছে তেমনভাবে আর কোনও রাজ্যের স্কুল সার্ভিস কমিশন কাজ করে না। তাই এসএসসির কাজ নিয়ে প্রশ্ন তোলা অহেতুক বলেই মনে করেন তিনি।
আরও পড়ুন-এসআইআর নিয়ে কাজের চাপে যোগীরাজ্যে আত্মঘাতী সরকারি কর্মী
শিক্ষামন্ত্রী জানান, আদালতের নিয়ম মেনেই নবম-দশম এবং একাদশ-দ্বাদশের পরীক্ষা সম্পন্ন করে ফলাফল প্রকাশ করেছে এসএসসি। সময়মতো শুরু হয়েছে নথি যাচাই এবং ইন্টারভিউ পর্ব। এই নিয়ে আবার মামলা হয়েছে শীর্ষ আদালতে। কিন্তু সুপ্রিম কোর্ট এসএসসি-সংক্রান্ত যাবতীয় মামলা পাঠিয়ে দিয়েছে হাইকোর্টে। এ-প্রসঙ্গে ব্রাত্য বসু জানান, একটা বিতর্কে একাধিক পর্যবেক্ষণ হতে পারে কিন্তু রায়ে সেরকম কোনও উল্লেখ নেই। বিচারক বা কোর্ট আলাদা হলে আইন বদলে যেতে পারে না। দীর্ঘদিন ধরে চাকরি আটকে রেখেছেন বিরোধীরা, আবার নতুন নিয়োগ করতে গেলে সেখানেও সমস্যা পাকাচ্ছেন তাঁরা। বিধানসভা নির্বাচনের আগে শিক্ষক নিয়োগ যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ। তাই এই প্রক্রিয়াকে বানচাল করার উদ্দেশ্যে বিরোধীরা এই কূটনৈতিক চাল অবলম্বন করছে বলেই মত তাঁর। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশমতো এদিনই অযোগ্যদের তালিকা প্রকাশ করেছে এসএসসি।
আরও পড়ুন-হারিয়েছেন বিশ্বাসযোগ্যতা! ডায়মন্ড হারবারে নিজের দলের কর্মীদের ক্ষোভের মুখে সুকান্ত
শিক্ষামন্ত্রী আগেই জানিয়েছিলেন আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী তালিকা প্রকাশ করবে স্কুল সার্ভিস কমিশন। সেই মতোই এসএসসির তালিকায় দেখা গেল, নবম-দশম এবং একাদশ-দ্বাদশের অযোগ্য শিক্ষকদের পূর্ণাঙ্গ তালিকায় ১৮০৬ জনের নাম রয়েছে। ৫৪ পাতার সেই তালিকায় অযোগ্য প্রার্থীর নাম, রোল নম্বর, তার শিক্ষকতা করার বিষয়, বাবার নাম, প্রার্থীর জন্ম সাল উল্লেখ করা রয়েছে।

