প্রতিবেদন : প্রশ্ন সহজ, এসএসসি পরীক্ষা দিয়ে আশাবাদী চাকরিপ্রার্থীরা। বিরোধীদের চক্রান্তকে একেবারে নস্যাৎ করে দিয়ে হাসিমুখে চ্যালেঞ্জ জয় করে এসএসসি পরীক্ষাকে সফলভাবে মিটিয়ে ম্যান অফ দ্যা ম্যাচ হল প্রশাসন। এদিন এসএসসি ও প্রশাসনকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। এদিকে, তাৎপর্যপূর্ণভাবে দেখা গিয়েছে যে বিজেপি এরকম একটা গুরুত্বপূর্ণ পরীক্ষাকে বানচাল করার জন্য উঠে পড়ে লেগেছিল, সেই বিজেপি রাজ্য থেকেই পরীক্ষার্থীরা বাংলায় এসেছে নিয়োগের পরীক্ষা দিতে। তাদের বক্তব্য বিহার, উত্তরপ্রদেশের মতো রাজ্যগুলিতে নিয়োগের কোনও পরীক্ষাই হয় না। ফলে দীর্ঘদিন ধরে শিক্ষিত হয়েও বেকার হয়ে পড়ে রয়েছেন তাঁরা। তাই কর্মসংস্থান জোটাতে বাংলামুখী হয়েছেন।
আরও পড়ুন-খুশি শিক্ষামন্ত্রী
শুধু তাই নয় বরং বিজেপি ঘনিষ্ট যে অরিন্দম পাল এসএসসি প্রশ্ন ফাঁস নিয়ে ফেক খবর ছড়িয়ে পুলিশের জালে বন্দি রয়েছেন তাকে ঐদিন দেখা গেল পরীক্ষা কেন্দ্রে পরীক্ষা দিতে। ঘাটালের রথিপুর বাণী বিদ্যাপীঠে কোর্টের নির্দেশেই কড়া পুলিশি প্রহরার মধ্য দিয়ে অরিন্দমকে পরীক্ষাকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়। তাঁর হাতে ছিল একটি আধার কার্ড, কলম এবং ট্রান্সপারেন্ট জলের বোতল। রবিবার নবম ও দশম শ্রেণির নিয়োগের জন্য পরীক্ষার আয়োজন করে এসএসসি। যথা সময়ে শুরু হয় পরীক্ষা। এরপর দেড় ঘণ্টা নির্বিঘ্নে চলে পরীক্ষা প্রক্রিয়া। কলকাতায় ৪১টি কেন্দ্রে এবং গোটা রাজ্যে ও ৬৩৬টি কেন্দ্রে পরীক্ষা হয়েছে। এদিন নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তায় মুড়ে ফেলা হয়েছিল পরীক্ষা কেন্দ্রগুলি। প্রতিটি জেলায় অতিরিক্ত জেলাশাসক পদমর্যাদার ব্যক্তিরা ছিলেন পরীক্ষা পরিচালনার দায়িত্বে। বেলা দেড়টার সময় প্রতিটি পরীক্ষা কেন্দ্র থেকে বেরিয়ে আসেন চাকরিপ্রার্থীরা। প্রথমবার পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ও উত্তরের কার্বন কপি হাতে করে নিয়ে বাইরে বেরিয়ে আসেন পরীক্ষার্থীরা। বিভিন্ন পরীক্ষাকেন্দ্রের বাইরে বেরিয়ে পরীক্ষার্থীরা জানান প্রশ্নপত্র তাঁদের জন্য সহজ ছিল। পরীক্ষার প্রস্তুতি ভাল করে নিলে চাকরি পাওয়া সম্ভব। যাঁরা প্রথম পরীক্ষা দিয়েছেন তাঁরাও পরীক্ষায় চাকরি পাওয়ার ব্যাপারে আশার কথা শোনান।
আরও পড়ুন-যোগীরাজ্যে ধর্ষণের শিকার নাবালিকা দিলেন শিশুকন্যার জন্ম, ৩০ মিনিটেই শিশুটির মৃত্যু ঘিরে চাঞ্চল্য
তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ এসএসসি প্রসঙ্গে বলেন, পরীক্ষা সুশৃঙ্খল ভাবে হয়েছে। শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু সমস্তটা পরিসংখ্যান দিয়ে জানিয়েছেন। এসএসসি নিয়ে রাম-বাম-কংগ্রেসের একাংশ যে কুৎসা করেছিল, তা ব্যর্থ হয়েছে। পরীক্ষার্থীদের বিভ্রান্ত করতে নানারকম চক্রান্ত করেছেন সিপিএম, বিজেপি নেতারা। কিন্তু পরীক্ষা সুষ্ঠু, সুশৃঙ্খল ভাবে সম্পন্ন হওয়ায় এটাই পরিষ্কার শকুনের অভিশাপে গরু মরে না।
রবিবারের নিয়োগের পরীক্ষায় যোগ দিয়েও রাজ্যের বদনাম করার অপচেষ্টা চালায় সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে নিয়োগ বাতিল হয়ে যাওয়া চাকরিপ্রার্থীরা। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের পরেও পরীক্ষার আগে পর্যন্ত পরীক্ষা না দেওয়ার সিদ্ধান্তে অনড় থেকে বারবার সুপ্রিম কোর্টেই মামলা করে গিয়েছেন তাঁরা। গদ্দার অধিকারীর উসকানিতে প্ররোচিত হয়েও এদিন পরীক্ষাকেন্দ্রে দেখা মিলল মেহবুব মণ্ডল, চিন্ময় মণ্ডলদের। নিজেদের পরীক্ষাকেন্দ্রে গিয়ে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেন তাঁরা।