”সরকারের ওপর ভরসা রাখা উচিত ছিল”: মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

বার ৩ দিনের কর্মসূচি রয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর। আজ শিলিগুড়িতে বিশ্ববঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলন আছে। উত্তরবঙ্গের শিল্পপতিদের সঙ্গে বৈঠক করবেন মুখ্যমন্ত্রী

Must read

উত্তরবঙ্গ সফরে যাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। এবার ৩ দিনের কর্মসূচি রয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর। আজ শিলিগুড়িতে বিশ্ববঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলন আছে। উত্তরবঙ্গের শিল্পপতিদের সঙ্গে বৈঠক করবেন মুখ্যমন্ত্রী। আগামীকাল জলপাইগুড়িতে সরকারি পরিষেবা প্রদান কর্মসূচি আছে। বুধবার উত্তরকন্যায় উত্তরবঙ্গের জেলাগুলিকে নিয়ে প্রশাসনিক বৈঠক করবেন মুখ্যমন্ত্রী।

আরও পড়ুন-”আন্দোলন যেন হিংসাত্মক না হয়” শিক্ষক আন্দোলন নিয়ে মুখ খুললেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়

এদিন যাওয়ার আগে বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে আন্দোলনরত শিক্ষকদের ব্যবহার নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করলেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি সাফ জানিয়ে দেন চাকরিহারাদের সরকারের ওপর ভরসা রাখা উচিত ছিল। রাস্তা অবরোধ করে মানুষের ক্ষতি করে লাভ হয় না। এরপরেই তিনি বলেন,”আমাদের তরফে আমরা রিভিউ পিটিশন করেছি। আমার যথেষ্ট সহানুভূতি ওদের প্রতি আছে, ছিল ও থাকবে। আমি তো মিটিং করে বলেছিলাম আমরা রিভিউ করব। কোর্টের ব্যাপারে আইন মেনে চলতে হয়, একটা বাধ্যবাধকতা থাকে। সেটা সকলকে বুঝতে হবে। এবং আমাদের দিক থেকে আমরা করেছি। যদি রিভিউ পিটিশনের অনুমোদন দেয় ভাল কথা। আমাদের আইনজীবীরা চাইবেন যাতে ওদের চাকরি থাকে। কিন্তু সেখানে কোর্ট যদি কোন সিদ্ধান্ত নেয় তাহলে আমি বলতে পারি না যে আমি মানব না কারণ সেটা মানতে আমরা বাধ্য। কিন্তু এখনও পর্যন্ত কারোর মাইনে বন্ধ হয় নি। এমনকি গ্ৰুপ সি ও ডির কর্মচারীদেরও একটা স্কিম করে টাকা দেওয়া হচ্ছে। সবথেকে খারাপ লাগে যারা উস্কাচ্ছে তাদের জন্যই কিন্তু ওদের চাকরি গেছে,আমাদের জন্য যায়নি।”

আরও পড়ুন-ভারতের দাবিকেই মান্যতা! কোন খাতে কত খরচ, পাকিস্তানকে জানাতে হবে বলল আইএমএফ

এরপরেই তিনি বিরোধীদের নিশানা করে বলেন, ”এই চাকরি যাওয়ার জন্য দায়ী যারা তারা এটা না করলেই পারতেন। যারা চাকরি খেয়েছেন সেই নাটের গুরুরাই যদি আজ তাদের স্বার্থ রক্ষার গুরু হয়ে যায় সেটাতে আমার আপত্তি আছে। তাদের রাজ্য সরকারকে বিশ্বাস করা উচিত ছিল। আমি নিজে ওদের সাথে মিটিং করেছি। শিক্ষকদের থেকে আমরা ন্যূনতম সম্মান ও সৌজন্য প্রত্যাশা করব। রাজনীতির উর্ধ্বে থেকে তারা সমাজকে সেবা করুক, বাচ্চাদের শিক্ষা দিক। সবাই সমান নয় সেটাও জানি। কেউ কেউ কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। যারা আন্দোলন করছেন তাদের বিরুদ্ধেও আমার কোন অভিযোগ নেই। অভিযোগ একটাই, কাউকে জোর করে আটকে রাখা যায় না, রাস্তা অবরোধ করে মানুষের ক্ষতি করা যায় না। এই আন্দোলনে বাইরের লোকের সংখ্যা বেশি। টিচারের সংখ্যা কম। অভিযোগ করা হয়েছে অন্তঃসত্তা মহিলাদের বেরোতে দেওয়া হচ্ছে না, তারা আটকে আছেন। অফিসে কাজ করছে তাদের ১৮ ঘন্টা আটকে রাখা হয়েছে। একটি মেয়ে পরীক্ষা দিতে গেছে, সে বার বার বাড়ি যাওয়ার কথা বলেছে তাঁকে নামতে দেওয়া হয় নি। সে ভয়ে লাফ দিয়েছে, পায়ে চোট পেয়েছে। মনে রাখতে হবে আগে আমরা মানবিক মানুষ। মানবিকতার উর্দ্ধে কিছু নয়। আমি আন্দোলনের বিপক্ষে না তবে তার একটা লক্ষণরেখা আছে। আমার যেমন অধিকার নেই কাউকে বাধা দেওয়ার, অন্যেরও অধিকার নেই আমাকে বাধা দেওয়ার। আমি তো বলব আপনারা এসব না করে আইনি লড়াই করুন। আমরা সম্পূর্ণ সাহায্য করব। আমরাও তো নিজেদের সাধ্যমত লড়ছি। কিন্তু কোন রাজনৈতিক দল যদি মনে করে জলঘোলা করবে তাহলে তাদের কাছে আমার প্রশ্ন কোর্টে যে কেসটা করেছিলেন সেটা কি ঠিক ছিল? ”

 

Latest article