মা ফুল্লরার মাটিতে দাঁড়িয়ে স্মৃতিচারণা, সতীপীঠে গিয়ে মাতৃদর্শনে মুখ্যমন্ত্রী

এদিন স্মৃতিচারণা করে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, আমি আজকে মা ফুল্লরার মাটিতে দাঁড়িয়ে রয়েছি। কঙ্কালীতলায় আমি নিজেই মাঝেমাঝে চলে যেতাম।

Must read

সংবাদদাতা, লাভপুর : সতীপীঠ ফুল্লরা মায়ের মন্দির সংলগ্ন মাঠে জনসভা করতে এসেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রবিবার লাভপুরে দলীয় প্রার্থীর সমর্থনে প্রচারসভা থেকে তিনি বলেন, এই প্রথমবার তিনি লাভপুরে এলেন, বীরভূমের পাঁচটি সতীপীঠের মধ্যে একমাত্র লাভপুরের সতীপীঠে আগে তাঁর আসা হয়নি। বহুদিনের ইচ্ছে, মায়ের ডাকে আমি মায়ের দর্শন করতে পৌঁছে যাই। তাই সভা শেষ করেই তিনি পৌঁছে গেলেন সতীপীঠ মা ফুল্লরার মন্দিরে। লাভপুরের বিধায়ক অভিজিৎ সিংহও মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে যান মন্দিরে। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, মায়ের দর্শন করে না গেলে মা অভিমান করবে। মন্দিরের ভেতরে গিয়ে ভক্তি ভরে মাকে প্রণাম করেন তিনি। তারপর মন্দিরের পুরোহিত মায়ের চরণের ফুল মুখ্যমন্ত্রীর হাতে তুলে দেন। চরণামৃতও নেন তিনি। মা ফুল্লরার আশীর্বাদ নিয়ে পরবর্তী কর্মসূচিতে রওনা দেন তিনি। মন্দিরের পুরোহিত জানান, মায়ের পুষ্প তিনি যত্ন করে শাড়ির আঁচলে বেঁধে নেন।

আরও পড়ুন-ব্রিটেনে পতনের মুখে ঋষি সুনক?

এদিন স্মৃতিচারণা করে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, আমি আজকে মা ফুল্লরার মাটিতে দাঁড়িয়ে রয়েছি। কঙ্কালীতলায় আমি নিজেই মাঝেমাঝে চলে যেতাম। আমি দেখতাম, একটা ছোট্ট পুকুর আছে। গ্রামে ঘুরে বেড়াতাম, সাঁতার কাটতাম, ধান কাটতাম, গাছে চড়তাম। এগুলো তো সব ছোটবেলায় শেখা, আজকের শেখা নয়। সবাই তো বলে আমি কী করে এসব করি? আমি তো সবই শিখেছি। চাকাইপুর আমার পিতৃভূমি। তবে আমার এখনও সেখানে যাওয়া হয়নি। আমি কুসম্বা গ্রামে জন্মেছি। সেখানে অনেকবার গিয়েছি। চাকাইপুরে আমাদের অনেক দেবোত্তর সম্পত্তিও ছিল। সেগুলি জ্যাঠামশাইয়ের ছেলেরা দেখাশোনা করেন।

Latest article