প্রার্থনায় রাজ্য সঙ্গীত: স্থানীয় ঐতিহ্য-সংস্কৃতির গুরুত্বও বিবেচ্য, ভুল বোঝাবুঝির গুজব উড়িয়ে জানালেন শিক্ষামন্ত্রী

Must read

রাজ্যের স্কুলগুলিতে প্রার্থনায় রাজ্য সঙ্গীত বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। মধ্যশিক্ষা পর্ষদের নির্দেশিকায় জানানো হয়েছে, রাজ্যের সমস্ত সরকারি ও সরকার পোষিত স্কুলে প্রতিদিন প্রার্থনায় রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের রচিত “বাংলার মাটি, বাংলার জল” গান গাইতে হবে। এই বিষয় নিয়ে জিটিএ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কোনও ভুল বোঝাবুঝি নেই। জানিয়ে দিলেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু (Education Minister Bratya Basu)। তিনি জানান, স্থানীয় ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির গুরুত্বও বিবেচনা করা উচিত।

বৃহস্পতিবার, শিক্ষামন্ত্রী (Education Minister Bratya Basu) নিজের এক্স হ্যান্ডেলে জানান, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অনুমত্যানুসারে, এখন থেকে পশ্চিমবঙ্গের প্রতিটি সরকার ও সরকার পোষিত বিদ্যালয়ে, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের রচিত বিখ্যাত “বাংলার মাটি বাংলার জল” গানটি বিদ্যালয়ের প্রারম্ভে প্রার্থনা সঙ্গীত হিসেবে গাওয়ার জন্য অনুমোদিত হল। সেই মর্মে নির্দেশিকাও জারি করে মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। পর্ষদের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছিল, “বাংলা ভাষা, সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের মর্যাদা রক্ষায় রাজ্যের স্কুলগুলিতে প্রতিদিন সকালের প্রার্থনায় ‘বাংলার মাটি, বাংলার জল’ গানটি গাওয়া আবশ্যক।“ রাজ্যের শিক্ষা দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, ইতিমধ্যেই প্রতিটি বিদ্যালয়ে নির্দেশ পাঠানো হয়েছে যাতে স্কুল প্রার্থনায় এই গানটি অন্তর্ভুক্ত করা হয়। প্রয়োজনে গানটির লিরিক্স ও সুরচর্চার জন্য শিক্ষক-শিক্ষিকাদের সহায়তা করতে বলা হয়েছে। বঙ্গভঙ্গ বিরোধী আন্দোলনের উত্তাল সময়ে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এই গানটি রচনা করেছিলেন। দেশের ঐক্য ও বাংলার সাংস্কৃতিক গৌরবের প্রতীক হিসেবে এই গান আজও সমান প্রাসঙ্গিক।

আরও পড়ুন- SIR-আত্মঘাতীদের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ রাখবে তৃণমূল, বিশেষ টিম গড়লেন অভিষেক

এর পরেই গুজব ছড়ায় যে এই বিষয়টি নিয়ে রাজ্যের সঙ্গে জিটিএ কর্তৃপক্ষের মতবিরোধ দেখা দিয়েছে। শনিবার, সেই সব গুজব উড়িয়ে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য জানান, “স্কুলগুলিতে সকালের প্রার্থনার সময় রাজ্য সঙ্গীত গাওয়ার বিষয়ে জিটিএ কর্তৃপক্ষ তাদের মতামত প্রকাশ করেছে।
বিষয়টি নিয়ে জিটিএ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করা হয়েছে। তারা একটি পরামর্শ দিয়েছে যাতে স্পষ্ট করে বলা হয়েছে যে, স্কুলগুলিতে সকালের প্রার্থনা পরিচালনার সময়, স্থানীয় ঐতিহ্য এবং সংস্কৃতির গুরুত্বও বিবেচনা করা উচিত।
এখানে কোনও ভুল বোঝাবুঝি নেই।“

Latest article