বাংলা ভাষায় কথা বললেই তকমা দেওয়া হচ্ছে বাংলাদেশি। বিশেষ করে বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলিতে বাংলাভাষী বাঙালীদের জোর করে পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে বাংলাদেশে। বাংলা শ্রমিকদের বিএসএফ এভাবেই সীমান্তের ওপারে পাঠিয়ে দিয়েছিল ষড়যন্ত্র করে। গত দুদিনে পরিযায়ী শ্রমিক কল্যাণ বোর্ড ও পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের তৎপরতায় ৫ জনকে ফিরিয়ে আনা হয়েছে। এই পাঁচজনকে মহারাষ্ট্র পুলিশ বাংলাদেশি সন্দেহে বিএসএফের হাতে তুলে দেয়। এরপর বিএসএফকে পশ্চিমবঙ্গের বাসিন্দা এবং ভারতের বৈধ নাগরিকত্বের সমস্ত নথি ও পরিচয়পত্র দেওয়া সত্ত্বেও নিয়মনীতির পরোয়া না করে তাদের বাংলাদেশে পুশব্যাক করা হয়।
কেন্দ্রের বিজেপি সরকার ও রাজ্যের ডাবল ইঞ্জিন সরকারগুলির এই ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে গর্জে ওঠেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর নির্দেশে পরিযায়ী শ্রমিক কল্যাণ বোর্ড ও পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ পরিযায়ী শ্রমিকদের বাংলাদেশ থেকে ফেরানোর উদ্যোগ নেয়। পাঁচ জনকে ফেরানোর পাশাপাশি তাঁরা খোঁজ চালাচ্ছে এরকম আরও পরিযায়ী শ্রমিকদের (migrant workers) অবৈধ পুশব্যাক করা হয়েছে কি না।
আরও পড়ুন- ৩ দিন আগেই নিযুক্ত করা হয়েছিল! ইজরায়েলের হামলায় নিহত সেনাপ্রধান
দুদিন আগে তিনজনকে বাংলাদেশ থেকে ফেরানোর পর নজরে আসে উত্তর চব্বিশ পরগনার বাগদার হরিহরপুরের বাসিন্দা সম্পর্কে স্বামী স্ত্রী ফজের মণ্ডল ও তসলিমা মণ্ডলকেও একই ভাবে বাংলাদেশ পাঠানো হয়েছে। এরপরই বিএসএফকে চাপ দেওয়া হয় এদের ফিরিয়ে আনতে। অবশেষে বিএসএফ ও বিজিবির ফ্ল্যাগ মিটিংয়ের মাধ্যমে এদের দুজনকে উত্তর দিনাজপুরের বিন্দোলের কয়লাডাঙ্গি সীমান্ত দিয়ে ফেরত এনে রায়গঞ্জ থানায় পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের হাতে তুলে দেয় বিএসএফ। পুলিশ তাঁদের বাড়ির লোকদের কাছে ফিরিয়ে দেয়। পরিবারের তরফ থেকে এই মর্মে ধন্যবাদ জানানো হয়েছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও পরিযায়ী শ্রমিক বোর্ডেকে । তৃণমূল কংগ্রেস সংসদ তথা পরিযায়ী শ্রমিক (migrant workers) বোর্ডের চেয়ারম্যান সামিরুল ইসলাম বলেন, বাঙালি পরিচয়ের জন্য এবং মাতৃভাষা বাংলা হওয়ার কারণে বিজেপি ডাবল ইঞ্জিন রাজ্যে এই নোংরামি চালাচ্ছে। বাংলায় কথা বলার জন্য আর কত দুর্দশা সইবে বাঙালি? নাগরিক সমাজে আওয়াজ উঠুক এই প্রশ্নে।