সংবাদদাতা, বর্ধমান : শুধু সোম থেকে শুক্র নয়, ছাত্রছাত্রী, রিসার্চার, প্রবীণ মানুষদের সুবিধার্থে সরকার পোষিত লাইব্রেরিগুলি এবার রবিবারেও খোলা রাখার চিন্তাভাবনা শুরু করেছে রাজ্য গ্রন্থাগার ও জনশিক্ষা দফতর। বুধবার বর্ধমানে বীরভূম, হুগলি, বাঁকুড়া এবং পশ্চিম ও পূর্ব বর্ধমানকে নিয়ে বৈঠকে এই বিষয়ে আলোচনা হয়েছে বলে জানান গ্রন্থাগার মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরি। উপস্থিত ছিলেন দফতরের বিশেষ সচিব হৃদেশ মোহন-সহ অন্য কর্তারা এবং জেলাশাসক আয়েষা রানি এ, অতিরিক্ত জেলাশাসক প্রমুখ।
আরও পড়ুন-জেলাশাসকের উদ্যোগ, নবরূপে সাজছে ঝাড়গ্রামের প্রাচীন বাঘেশ্বর শিবমন্দির
মন্ত্রী জানান, সোম থেকে শুক্রবার গ্রন্থাগারগুলি খোলা থাকে। কিন্তু প্রস্তাব এসেছে রবিবার যদি খোলা রাখা যায় তাহলে অনেকের উপকার হয়। এই প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা চলবে। গোটা রাজ্যকে গ্রন্থাগার ও জনশিক্ষা প্রসার দফতর ৬ জোনে ভাগ করেছে। প্রতিটি জোনের কাছে প্রস্তাব চাওয়া হবে। তারপরই সিদ্ধান্ত হবে। তবে রাজ্যের ২৪৮০টি গ্রন্থাগার সম্পর্কে বিশদ জানার সিদ্ধান্ত হয়েছে। তাদের দলিল, পরচা আছে কিনা তা জানতে চাওয়া হবে। রাজ্যের লাইব্রেরিগুলিতে ২ কোটি ৬০ লক্ষ বই রয়েছে। সেগুলির বাস্তব অবস্থা জানাতে প্রতিটি লাইব্রেরিকে রিপোর্ট দিতে বলা হয়েছে ১৭ তারিখের মধ্যে। কোথায় কত বই, কত ভাষার বই, শৌচাগার, পানীয় জলের ব্যবস্থা আছে কিনা তাও জানতে চাওয়া হচ্ছে। গ্রন্থাগারগুলিতে কমপিউটার দেওয়া হয়েছে প্রায় ৭০০। সেগুলির কী অবস্থা সে বিষয়েও জানার চেষ্টা চলছে। দুষ্প্রাপ্য বই ডিজিটালাইজেশন করা হবে। অন্যদিকে, জনশিক্ষা প্রসার দফতরের বিভিন্ন সহকারী প্রকল্প নিয়েও বৈঠকে পর্যালোচনা হয়। এই দফতরের উদ্যোগে চালু স্কুলগুলি দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত। এরপর ছেলেমেয়েদের ভবিষ্যৎ কী হবে তা নিয়েও আলোচনা হয়। দফতর একটি কলেজ করতে চায়। ইতিমধ্যেই এ ব্যাপারে মুখ্যমন্ত্রী গ্রিন সিগন্যাল দিয়েছেন এবং জমি খোঁজ চলছে বলে জানান মন্ত্রী।