প্রতিবেদন : ধনধান্য অডিটোরিয়াম (Dhanadhanya Auditorium) নির্মাণের সঙ্গে যুক্ত বাস্তুকার এবং কারিগরদের সংবর্ধনা দেবে রাজ্য সরকার। লম্বায় ৫১০ ফুট ও চওড়ায় ২১০ ফুট ছ-তলা এই ভবনের নির্মাণশৈলী ইতিমধ্যেই মানুষের আকর্ষণের কেন্দ্র হয়ে উঠেছে। আলিপুরের দৃষ্টিনন্দন শঙ্খ আকৃতির এই অডিটোরিয়াম উদ্বোধনের দিনেই নির্মাণ-কৃতিত্বের স্বীকৃতিস্বরূপ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ওই প্রকল্পের সঙ্গে যুক্ত কলাকুশলীদের সংবর্ধনা দেওয়ার নির্দেশ দেন। সেই মতো আগামী মাসে দীপাবলির সময়েই প্রেক্ষাগৃহের নির্মাণের সঙ্গে যুক্ত আড়াইশো কারিগর এবং ইঞ্জিনিয়ারদের সংবর্ধনা-অনুষ্ঠান আয়োজনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে পূর্ত দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে। ধনধান্য অডিটোরিয়ামেই (Dhanadhanya Auditorium) এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হবে।
অডিটোরিয়ামটি তৈরি করার দায়িত্বে থাকা পূর্ত দফতরই এই অনুষ্ঠানটির আয়োজন করতে চলেছে। বর্তমানে এর দেখভালের দায়িত্বে রয়েছে হিডকো। সেই কারণে কবে এই অনুষ্ঠানের জন্য অডিটোরিয়ামটি ফাঁকা পাওয়া যাবে তা জানতে চেয়ে চিঠিও দেওয়া হয়েছে হিডকো কর্তৃপক্ষকে। অডিটোরিয়াম তৈরির কাজ শুরু হয়েছিল ২০১৮ সালে। দু’হাজার আসনের অডিটোরিয়াম। এছাড়া ৫৪০ আসনের আরও একটি সভাগৃহ রয়েছে। পাশাপাশি ৩০০ মানুষ বসতে পারবেন এমন একটি স্ট্রিট থিয়েটারও রয়েছে ‘ধনধান্য’-এ। ব্যাঙ্কোয়েট, ফুড পার্ক-সহ আধুনিক পরিকাঠামোও রয়েছে। এটির নীচে রয়েছে ভূগর্ভস্থ দু’তলা কার পার্কিং। যেখানে ২৫০টি গাড়ি একসঙ্গে রাখা যাবে। একটি তোরণও তৈরি করা হয়েছে। প্রায় সাড়ে ছ-হাজার মেট্রিক টন স্টিল ব্যবহার করে গড়ে তোলা হয়েছে ছ-তলা বাড়িটি। বাড়িটির উপরের অংশটি একেবারে শঙ্খের মতো দেখতে। আলোকসজ্জার জন্য ব্যবহার করা হয়েছে বিদেশি প্রযুক্তি। ১৩ এপ্রিল মুখ্যমন্ত্রী এই অডিটোরিয়ামের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন। উদ্বোধনের দিনেই মুখ্যমন্ত্রী নির্দেশ দিয়েছিলেন প্রতিটি কারিগরকে যেন যথাযোগ্য সম্মান দেওয়া হয়। কারণ জটিল কারিগরি শৈলীর ওই ভবন তৈরি নির্মাণের সঙ্গে যুক্ত কর্মীদের কাছে ছিল এক বিরাট চ্যালেঞ্জ। বহু শ্রম ও অধ্যবসায়ে সেই চ্যালেঞ্জ সসম্মানে উত্তীর্ণ হয়েছিলেন তাঁরা।