বীরভূমের ৩ মহকুমায় রাজ্যের অগ্নিনির্বাপণ দফতরের উদ্যোগ, গড়ে উঠবে নতুন ৫ দমকল কেন্দ্র

তারাপীঠ মন্দিরে পুজো দিতে এসে সোমবার এই কথা জানিয়ে গেলেন দমকল মন্ত্রী সুজিত বসু। জেলার তিন মহকুমার মধে আয়তনে সবচেয়ে বড় রামপুরহাট।

Must read

প্রতিবেদন : তারাপীঠ মন্দির ছাড়াও বীরভূম জেলায় নতুন পাঁচটি দমকল কেন্দ্র গড়ে তুলবে রাজ্য অগ্নিনির্বাপণ দফতর। তারাপীঠ মন্দিরে পুজো দিতে এসে সোমবার এই কথা জানিয়ে গেলেন দমকল মন্ত্রী সুজিত বসু। জেলার তিন মহকুমার মধে আয়তনে সবচেয়ে বড় রামপুরহাট। এই মহকুমার ৮ ব্লকের বিস্তীর্ণ অঞ্চলের জন্য মাত্র একটিই দমকল কেন্দ্র রয়েছে। ফলে বড়সড় দুর্ঘটনা হলে রামপুরহাট থেকে দমকলের গাড়ি ঘটনাস্থলে এসে পৌঁছতে পৌঁছতেই বড় ক্ষতির মুখে পড়তে হয়। তাই দীর্ঘদিন ধরে রামপুরহাট মহকুমার একাধিক অঞ্চলে দমকল কেন্দ্র চালুর দাবি জানাচ্ছিলেন এলাকাবাসী। শেষমেশ মন্ত্রীই দিয়ে দেলেন এই সুখবর। তারাপীঠে পুজো দিতে সোমবার রামপুরহাট স্টেশন পৌঁছন মন্ত্রী।

আরও পড়ুন-লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের টাকায় পুজোর প্রস্তুতি ধুর্পা গ্রামের প্রমীলাদের

স্টেশনেই তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘বীরভূমের নলহাটি, মুরারই, লাভপুর, তারাপীঠ-সহ ৫টি জায়গায় নতুন দমকল কেন্দ্র গড়ে তোলা হবে। প্রথম পর্যায়ে নলহাটি, লাভপুর ও তারাপীঠে ৩টি দমকল কেন্দ্র গড়ে তোলার জন্য প্রকল্পের এস্টিমেট রাজ্যে পাঠানো হয়েছে। সেখান থেকে অর্থ বরাদ্দ হলেই কাজ শুরু করা হবে। বীরভূমের অন্যতম প্রধান জনপ্রিয় পর্যটন কেন্দ্র তারাপীঠে কোনও দমকল কেন্দ্র না থাকায় এতদিন বড় উৎসব বা অনুষ্ঠানে দুর্ঘটনার আশঙ্কা থেকেই যেত। তাই অস্থায়ীভাবে তারাপীঠ মন্দির এলাকায় রামপুরহাট দমকল বাহিনীর একটি ইঞ্জিন ও কয়েকজন কর্মীকে বর্তমানে মোতায়েন করা হয়েছে। মন্ত্রী আসতেই তাঁর কাছে তারাপীঠের জন্য একটি অত্যাধুনিক ল্যাডারের বরাদ্দ চেয়ে দাবিপত্র দেন বিধানসভার উপাধ্যক্ষ তথা বিধায়ক ও তারাপীঠ রামপুরহাট উন্নয়ন পর্ষদের চেয়ারম্যান আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর দাবি, তারাপীঠে অনেক বহুতল হোটেল ও ভবন রয়েছে। তাই অত্যাধুনিক প্রযুক্তির ল্যাডার প্রয়োজন। দমকল মন্ত্রীর কাছে সেই ল্যাডারের দাবি জানিয়েছি। তিনি আশ্বাস দিয়েছেন। পাশাপাশি এ বছরই নতুন দমকল কেন্দ্রগুলির কাজ শুরু হয়ে যাবে বলে জানিয়েছেন দমকল মন্ত্রী।

Latest article