পুজো আসছে, ইলিশ পাঠান: বাংলাদেশকে চিঠি রাজ্যের মৎস্য ব্যবসায়ী সংগঠনের

Must read

সংবাদদাতা, হাওড়া : আর দুমাস পরেই শারদোৎসবে মেতে উঠবে বাঙালি। আর বাঙালির কাছে দুর্গাপুজো ও পেটপুজো যেন সমার্থক। অষ্টমীর অঞ্জলি দেওয়ার পরে চর্ব্য, চোষ্য নাহলে যেন মন ভরে না। আর সেই সময়ে পাতে যদি পড়ে ইলিশ, তা হলে খুশি এক ধাক্কায় বেড়ে যায় দ্বিগুণ। সেই ব্যবস্থা করতেই বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে পদ্মার ইলিশ (Ilish) পাঠানোর জন্য চিঠি দিল রাজ্যের মৎস্য ব্যবসায়ী সংগঠন ফিশ ইমপোটার্স অ্যাসোসিয়েশন। এপার বাংলায় রুপোলি শস্য আনতে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের বিদেশমন্ত্রকের উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেনকে মঙ্গলবার ফিশ ইমপোটার্স অ্যাসোসিয়েশনের তরফে এই চিঠি দেওয়া হয়েছে। ফিশ ইমপোটার্স অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক সৈয়দ আনোয়ার মাকসুদ জানান, গত বছর ২৪২০ মেট্রিক টন ইলিশ মাছ রফতানির অনুমতি দিয়েছিল বাংলাদেশ। তার জন্য এপার বাংলার মানুষ ‘গভীর ভাবে কৃতজ্ঞ’। সেই ট্র্যাডিশন বজায় রেখে চলতি বছরে দুর্গাপুজোর আগেই সময়সীমা বাড়িয়ে ইলিশের রফতানির অনুমতি দিক বাংলাদেশ সরকার। সৈয়দ আনোয়ার মাকসুদ চিঠিতে লিখেছেন, ‘গত বছর ২৪২০ মেট্রিক টন ইলিশ (Ilish) মাছ রফতার অনুমতি দিলেও মাত্র ৫৭৭ মেট্রিক টন ইলিশ এসে পৌঁছেছিল। কারণ রফতানির অনুমতির জন্য একটা নির্দিষ্ট সময়সীমা থাকে। যেমন ৩০ দিন থেকে ৪৫ দিন। এই অল্প সময়ের মধ্যে এই বিশাল পরিমাণ মাছ নেওয়া সম্ভব ছিল না। তাই এবার কোনও সময়সীমা বেঁধে না দিয়ে ইলিশ মাছ রফতানির অনুমতি দেওয়ার জন্য অনুরোধ করা হচ্ছে।’ শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পর থেকেই ভারত-বাংলাদেশের সম্পর্ক তলানিতে গিয়ে ঠেকেছে। সীমান্তে বিবাদ এবং বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের উপর নির্যাতন নিয়ে দুই দেশের মধ্যে কূটনৈতিক দ্বন্দ্ব অব্যাহত আছে। এর মধ্যেই ওপার বাংলাকে ইলিশ রফতানির অনুমতির দেওয়ার কথা বলে চিঠি গেল এপার বাংলা থেকে। এর প্রেক্ষিতে বাংলাদেশ সরকার কী সিদ্ধান্ত নেয় সেটাই এখন দেখার।

আরও পড়ুন-২০ দিন নিখোঁজ মেয়ে, মা-বাবাকে ফোন নম্বর দিয়ে সাংসদের আশ্বাস

Latest article