প্রতিবেদন : নাইট শিফটে কর্মরত মহিলাদের সুরক্ষা (safety of women workers) নিশ্চিত করতে নির্দিষ্ট গাইডলাইন তৈরি করে দিল রাজ্য সরকার। ইতিমধ্যে রাজ্য স্বরাষ্ট্র দফতর একটি খসড়া প্রস্তাব তৈরি করেছে, যেখানে মহিলাদের রাত্রিকালীন শিফটে নিয়োগ সংক্রান্ত একাধিক নিয়মবিধি চিহ্নিত করা হয়েছে। আরজি করের ঘটনার পর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মহিলাদের নৈশ নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কড়া বার্তা দিয়েছিলেন। তাঁর সেই বার্তার পরেই রাজ্য প্রশাসন রাতে মহিলা কর্মীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে নির্দিষ্ট গাইডলাইনের খসড়া তৈরি করে।
আরও পড়ুন-৩ সেপ্টেম্বর করম পুজো ছুুটি ঘােষণা করল রাজ্য
নবান্ন সূত্রে জানানো হয়েছে, সরকারি-বেসরকারি সব সংস্থার ক্ষেত্রেই এই গাইডলাইন কার্যকর হবে। গাইডলাইনে উল্লেখ করা হয়েছে, কোনও মহিলাকে রাতে কাজ করতে বাধ্য করা যাবে না। তাঁকে যদি নাইট শিফটে রাখতে হয়, তবে সংস্থাকে তাঁর লিখিত অনুমতি নিতে হবে। শুধুমাত্র স্বেচ্ছায় ডিউটিতে রাজি হলে তবেই তাঁকে রাতে কাজে নিয়োগ করা যাবে। একইসঙ্গে তথ্যপ্রযুক্তি, স্বাস্থ্য, পরিবহণ, পুলিশ-সহ বিভিন্ন দফতর বা সংস্থার কাছে কিছু নির্দিষ্ট বিষয়ে মতামতও চাওয়া হয়েছে, যাঁদের পরিকাঠামোয় মহিলাদের (safety of women workers) রাতে কাজ করতেই হয়। খসড়া প্রস্তাবে মোট ২২টি মূল পয়েন্ট রাখা হয়েছে। রাত ৮টা থেকে ভোর ৬টা পর্যন্ত ‘নাইট শিফট’-এ যাঁরা কাজ করবেন, তাঁদের জন্য সুনির্দিষ্ট সুরক্ষা ব্যবস্থা রাখতে হবে। অফিসে যাতায়াতের গাড়ি সংস্থাকে দিতে হবে, যা জিপিএস ট্র্যাকিংয়ের আওতায় থাকবে। গাড়িতে প্রশিক্ষিত মহিলা নিরাপত্তারক্ষী রাখা বাধ্যতামূলক। গাড়িতে থাকবে এমার্জেন্সি অ্যালার্ট সিস্টেম। অফিস চত্বরে সিসিটিভি বসাতে হবে এন্ট্রি ও এক্সিট গেটে, করিডরে এবং অন্য গুরুত্বপূর্ণ জায়গায়। অফিসে বিশ্রাম নেওয়ার ঘর, ক্যান্টিন, অ্যাম্বুল্যান্স পরিষেবা রাখতে হবে। অফিসে অভ্যন্তরীণ অভিযোগ গ্রহণ কমিটি রাখতে হবে। যৌন হেনস্থার মতো ঘটনা ঘটলে ‘জিরো টলারেন্স’ নীতির ভিত্তিতে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এছাড়া প্রত্যেক অফিসেই থাকতে হবে ‘ইন্টারনাল সেফটি রিভিউ কমিটি’। তিনমাস অন্তর বৈঠকে বসে সুরক্ষা ব্যবস্থা খতিয়ে দেখবেন। সেফটি পলিসি স্থানীয় ভাষায় বোঝাতে হবে কর্মীদের। অফিস চত্বরে ঝুলিয়ে রাখতে হবে জরুরি নম্বর। নিয়ম ভাঙলে সংস্থাকে শ্রম আইনের ভিত্তিতে জরিমানা করা হবে, ছাড়পত্রও বাতিল করা হবে।