প্রতিবেদন : জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের পেশ করা তথ্য ভুলে ভরা। নির্বাচন-পরবর্তী হিংসা মামলায় সুপ্রিম কোর্টে দেওয়া হলফনামায় এই কথা জানাল পশ্চিমবঙ্গ সরকার। মানবাধিকার কমিশনের ওই তথ্যের ভিত্তিতেই কলকাতা হাইকোর্ট নির্বাচন-পরবর্তী হিংসা মামলায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিল। কমিশনের ওই রিপোর্টের ভিত্তিতে এই তদন্ত কতদূর যুক্তিসঙ্গত, সেই প্রশ্ন সামনে আনল রাজ্য সরকার। এনএইচআরসি গঠিত কমিটির দাবি, মোট হিংসা সংক্রান্ত মোট অভিযোগের মাত্র ৩ শতাংশ ক্ষেত্রে ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে রাজ্য পুলিশ। কিন্তু রাজ্য সরকারের দাবি, বাস্তবে ৫৮ শতাংশ ক্ষেত্রে ব্যবস্থা নিয়েছে পুলিশ। রাজ্যে মোট ভোট- পরবর্তী অশান্তির মামলা দায়ের হয়েছে ১৪২৯টি। মোট অভিযুক্তের সংখ্যা ৮ হাজার ৮৫২।
আরও পড়ুন :তৃণমূল কংগ্রেসকে রুখতে ত্রিপুরা জুড়ে ১৪৪ ধারা জারি বিজেপির
এর মধ্যে গ্রেফতার করা হয়েছে বা আত্মসমর্পণ করে আদালতে জামিন পেয়েছেন ৫ হাজার ১৫৪ জন। রাজ্য পুলিশ ২ হাজার ৯৮৩ জনকে নোটিশ পাঠিয়েছে। মঙ্গলবার পশ্চিমবঙ্গ সরকারের পক্ষ থেকে সুপ্রিম কোর্টে জানানো হয়েছে, রাজ্য পুলিশ এখনও পর্যন্ত ২ হাজার ৮৭৭টি অভিযোগ খতিয়ে দেখেছে। যার মধ্যে ১ হাজার ৩৫৬টি অভিযোগ ভুয়ো বলে প্রমাণ হয়েছে। ৬৫১টি ক্ষেত্রে এফআইআর দায়ের হয়েছে। অপরাধমূলক ঘটনা হিসেবেও গণ্য হয়েছে ৪০৪টি ঘটনা। জাতীয় মানবাধিকার কমিশনকে পক্ষপাতদুষ্ট বলে রাজ্য সরকার জানায়, বিধানসভা নির্বাচনের সময় রাজ্যে অশান্তি ছড়িয়েছিল বিজেপি। সেই সময়ে রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলা রক্ষার দায়িত্ব ছিল নির্বাচন কমিশনের। মামলার পরবর্তী শুনানি ২৮ সেপ্টেম্বর।