প্রতিবেদন : বেসরকারি হাসপাতালের মতো স্বাচ্ছন্দ্য, খরচ নামমাত্র। যেকোনও কর্পোরেট হাসপাতালকে টেক্কা দিতে পারে অনায়াসে। অন্তত ৮০ শতাংশ কম খরচে অত্যাধুনিকমানের চিকিৎসা দিতেই এই নয়া পরিকল্পনা রাজ্য সরকারের। মধ্যবিত্ত শ্রেণির মানুষকে সুচিকিৎসা দিতে রাজ্যের অভিনব উদ্যোগ এই ‘বাজেট হাসপাতাল’। পিজি হাসপাতাল চত্বরেই রাজ্যের প্রথম সারির চিকিৎসকদের দিয়ে যৎসামান্য খরচে চিকিৎসা পরিষেবা মিলবে সাধারণ মানুষের জন্য। বাংলার মধ্যবিত্ত সম্প্রদায় এবার উচ্চবিত্তদের মতো চিকিৎসার এক নতুন ঠিকানা খুঁজে পাবে মা-মাটি-মানুষের সরকারের সৌজন্যে।
আরও পড়ুন-ভারোত্তোলনে সোনা পেলেন সিভিক ভলান্টিয়ার সংঘমিত্রা
রাজ্য সরকারের এই ভাবনার নেপথ্যে রয়েছে, পিজি হাসপাতালের উডবার্ন ওয়ার্ডের উল্লেখযোগ্য সাফল্য। সেখানে যেমন পিপিপি মডেলে উন্নতমানের চিকিৎসা মেলে, তেমনি এই বাজেট হাসপাতালেও সাধারণ মধ্যবিত্ত শ্রেণির মানুষ উন্নত চিকিৎসা করাতে পারবে সাধ্যের মধ্যে। উল্লেখ্য, এখন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সৌজন্যে পিজির উডবার্ন ওয়ার্ড সকলের জন্য উন্মুক্ত। সেইমতোই নতুন বাজেট হাসপাতালের পরিকল্পনা করে রাজ্য সরকার। এবার জেলায় জেলায় এই মডেলে হাসপাতাল তৈরি হবে। সেজন্য জমি খোঁজার কাজও শুরু হয়েছে ইতিমধ্যেই।
পিজি হাসপাতালের পোস্ট অফিস গেটের পাশে ১০ তলা নতুন হাসপাতাল ভবন নির্মাণ হচ্ছে। এই হাসপাতাল থেকে দেখা যাবে মা উড়ালপুল, রেসকোর্স ও ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল। পিজি হাসপাতালের পদস্থ আধিকারিক জানিয়েছেন, বাজেট হাসপাতালের প্রথম চার তলা সাধারণের জন্য খুলে দেওয়া হবে পুজোর আগেই। বাকি অংশের কাজ চলবে। ২০২৩ সালের ২৩ নভেম্বর প্রকল্পটি শুরু হয়েছিল, এখন প্রায় শেষের পথে। বাজেট হাসপাতালের দশতলা ভবনে থাকছে ৮টি ভিআইপি সুইট, ১০২টি সুসজ্জিত কেবিন, ৫টি এইচডিইউ ইউনিট, ১৬টি আইসিইউ বেড, মোট ১৩১টি বেড, থাকছে রিকভারি বেডও। নতুন বাজেট হাসপাতালের পাশাপাশি উন্নত হচ্ছে শতাব্দীপ্রাচীন উডবার্ন ওয়ার্ডও। কেবিনের সংখ্যা বাড়িয়ে প্রায় ৬০টি করা হচ্ছে।