শিল্প গঠনের অনুকূল পরিবেশ তৈরি করে বর্তমান বাংলার সরকার নজির তৈরি করেছে। সেই শিল্প গঠনের ক্ষেত্রে একদিকে যেমন শিল্পপতিদের জন্য পরিকাঠামো তৈরি করা হচ্ছে নিরন্তর, সেই সঙ্গে উৎসাহ প্রদান করা হয়েছে নতুন শিল্প উদ্যোগপতিদেরও। তার উপযুক্ত পরিকাঠামো তৈরি করতে গিয়ে ঋণ গ্রহণের পথও এমনভাবে সহজ করা হয়েছে যাতে ঋণ পেতে উদ্যোগপতিদের কোনও সমস্যা হয় না বা ঋণদাতারাও সন্তুষ্ট হয়েছেন। যার ফলে সবথেকে বেশি ঋণ এখন সরকারি ব্যাঙ্কগুলি থেকেই দেওয়া হচ্ছে বলে জানালেন ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্পমন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিনহা।
ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্পের প্রসারে ব্যাঙ্ক ও সরকার একসঙ্গে কাজ করছে, ফলে ঋণ প্রাপ্তির পরিবেশ আগের তুলনায় অনেক উন্নত হয়েছে, জানালেন বিভাগীয় মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিনহা। বিধানসভার প্রশ্নোত্তর পর্বে তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক মধুসূদন বাগের প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, এপর্যন্ত ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প ক্ষেত্রে ৩০০ কোটি টাকার ঋণ মঞ্জুর হয়েছে। রাজ্যের ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্পখাতে এই বিপুল পরিমাণ ঋণ দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন- উল্টোডাঙায় ব্যবসায়ীর বাড়িতে ডাকাতি, নগদ-সহ বহু মূল্যের গয়না লুঠ
তবে এই তথ্যের পাল্টা প্রশ্ন তোলেন বিজেপি বিধায়ক অশোক লাহিড়ী। এই ৩০০ কোটির মধ্যে রাষ্ট্রায়ত্ত, সমবায় ও বেসরকারি ব্যাঙ্ক – কোথা থেকে সবচেয়ে বেশি ঋণ পাওয়া গিয়েছে, তা জানতে চান তিনি। গত ১৪ বছরে ব্যাঙ্কগুলির ঋণ দেওয়ার অভিজ্ঞতা কেমন তা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন। জবাবে মন্ত্রী জানান, এই মুহূর্তে তাঁর কাছে বিস্তারিত তথ্য নেই। তবে তিনি স্পষ্ট করেন, আগে অনেক সময়েই ব্যাঙ্কগুলি ঋণ দিতে অনীহা দেখাত। কিন্তু এখন সেই অনীহা অনেকটাই কেটেছে। সরকারি ব্যাঙ্কগুলিই এখন ঋণ দেওয়ার ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি সুবিধা দিচ্ছে, বিধানসভায় জানালেন মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিনহা।