সংবাদদাতা, হাওড়া : হাওড়াবাসীকে উপহার পুরসভার। পূরণ হল দীর্ঘদিনের চাহিদাও। হাওড়া পুরসভার উদ্যোগে শুক্রবার চালু হল অত্যাধুনিক ব্লাড ব্যাঙ্ক। হাওড়ার পঞ্চাননতলায় ৩ নম্বর বরো অফিসের তিনতলায় প্রায় ৩ হাজার বর্গফুট এলাকা জুড়ে ওই ব্লাড ব্যাঙ্কটি তৈরি হয়েছে। ভার্চুয়ালি এই ব্লাড ব্যাঙ্কের উদ্বোধন করলেন পুরমন্ত্রী ও কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম।
আরও পড়ুন-তৃণমূলের আন্দোলনে চা-সুন্দরীর এনওসি দিল চা-বাগান কর্তৃপক্ষ
উপস্থিত ছিলেন খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ ও উদ্যানপালন মন্ত্রী অরূপ রায়, বিধায়ক নন্দিতা চৌধুরী, হাওড়ার মুখ্য পুর প্রশাসক ডাঃ সুজয় চক্রবর্তী সহ আরও অনেকে। রোটারি ক্লাব অফ কলকাতার সহযোগিতায় হাওড়া পুরসভার উদ্যোগে প্রায় ১ কোটি টাকা ব্যয়ে এটি তৈরি হয়েছে। ৮০০ পাউচ রক্ত রাখার ক্ষমতা বিশিষ্ট ‘এইচএমসি-রোটারি ব্লাড সেণ্টার’-এ রক্ত ছাড়াও প্লাজমা, আরবিসি, প্যাক-সেল, প্লেটলেট সহ সমস্ত রক্তের উপাদান ন্যূনতম মূল্যে পাওয়া যাবে। পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম বললেন, রাজ্যে পুরসভার উদ্যোগে এই প্রথম কোনও ব্লাড ব্যাঙ্ক তৈরি হল। এমনকী কলকাতা পুরসভারও ব্লাড ব্যাঙ্ক নেই। আগামিদিনে কলকাতা পুরসভায় হাওড়ার মতো এইরকম ব্লাড ব্যাঙ্ক তৈরি করার চেষ্টা করব। হাওড়া পুরসভা ফুলবাজার তৈরি থেকে শুরু করে এমন অনেক কাজ করছে যা কলকাতা পুরসভাতেও নেই। সত্যিই প্রশংসনীয় কাজ করছে হাওড়া পুরসভা। এই মুহূর্তে হাওড়া একটি আধুনিক শহরে পরিণত হয়েছে।
আরও পড়ুন-১০০ দিনের কাজ বকেয়া নিয়ে নিদের্শিকা পঞ্চায়েত দফতরের, স্বচ্ছতা বজায় রাখতে জারি সতর্কতা
মন্ত্রী অরূপ রায়ের কথায়, এর ফলে হাওড়ার মানুষের খুবই উপকার হবে। হাওড়ার মুখ্য পুর প্রশাসক ডাঃ সুজয় চক্রবর্তী জানান, হাওড়া ছাড়াও পার্শ্ববর্তী এলাকার মানুষ এখান থেকে রক্ত পাবেন। এছাড়াও এখানে থাকবে একটি ভ্রাম্যমাণ গাড়িও। সেই গাড়ি বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে ঘুরে রক্তদান শিবিরগুলিতেও পৌঁছে যাবে। তিনি আরও জানান, দরপত্র আহ্বান করে এটি পরিচালনার দায়িত্বভার একটি পেশাদার সংস্থার হাতে দেওয়া হবে। খুব শীঘ্রই এই প্রক্রিয়া শেষ হবে। মাসখানেকের মধ্যে পুরোদমে চালু হয়ে যাবে এই ব্লাড ব্যাঙ্কটি। উল্লেখ্য, হাওড়া জেলা হাসপাতাল ছাড়া জেলায় কোনও ব্লাড ব্যাঙ্ক ছিল না। স্বভাবতই এই ব্লাড ব্যাঙ্কটি চালু হওয়ায় খুশি শহরবাসী।