সংবাদদাতা, কাকদ্বীপ : গঙ্গাসাগরে কপিলমুনির মন্দিরকে ঘিরে হতে চলেছে পরিকাঠামো উন্নয়ন এবং সৌন্দর্যায়নের কাজ। এর জন্য একটি পাইলট প্রোজেক্ট (Pilot Project) হাতে নিয়েছে রাজ্য সরকার। সেই প্রকল্পের মাধ্যমে মন্দিরের সামনে সমুদ্রভাঙন রুখতে হবে পরিকাঠামো উন্নয়ন ও সৌন্দর্যায়ন। বিশেষ করে মন্দিরের সামনে ২ থেকে ৪ নম্বর রাস্তায় টেট্রাপট দিয়ে ভাঙন বন্ধের কাজ দ্রুত শুরু করা হবে। শনিবার কাকদ্বীপ মহকুমা শাসকের অফিসে ২০২৩ সালের গঙ্গাসাগর মেলা নিয়ে প্রথম প্রস্তুতি বৈঠকেই এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। বৈঠকে ছিলেন জেলাশাসক সুমিত গুপ্তা, জেলা সভাধিপতি সামিমা সেখ, মেলা অফিসার তথা অতিরিক্ত জেলাশাসক, সুন্দরবনের পুলিশ সুপার ভাস্কর মুখোপাধ্যায়, সুন্দরবন উন্নয়নমন্ত্রী বঙ্কিম হাজরা, গঙ্গাসাগর-বকখালি উন্নয়ন পর্ষদের চেয়ারম্যান শ্রীমন্ত মালি-সহ, সেচ, বিদ্যুৎ ও স্বাস্থ্য দফতরের আধিকারিকরা। গত বছরের ভুলত্রুটি শুধরে আগামী বছরের মেলার আয়োজন করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। দ্রুত পরিকাঠামো তৈরির জন্য ফিল্ড সার্ভের কাজ শুরু হবে। এছাড়া প্রতিটি বিভাগের মধ্যে সমন্বয়ের ওপর জোর দেওয়া হয়েছে। বৈঠক শেষে মন্ত্রী বঙ্কিম হাজরা বলেন, ‘‘বৈঠক থেকে গঙ্গাসাগরের জন্য একটি পাইলট প্রোজেক্ট (Pilot Project) শুরু হয়ে গেল। মন্দিরের সামনে ভাঙন রোখা প্রধান কাজ। সেজন্য আধুনিক পদ্ধতিতে বাঁধ মেরামত করা হবে। সেচ দফতর দ্রুত এই কাজে হাত লাগাবে। মেলাকে আরও সর্বাঙ্গীণ ও সুন্দরভাবে আয়োজনের প্রস্তুতি শুরু হয়ে গেল।’’ জেলাশাসক সুমিত গুপ্তা বলেন, ‘‘মেলা পরিচালনায় যুক্ত প্রতিটি বিভাগের মধ্যে সমন্বয় বাড়ানোর ওপর জোর দেওয়া হয়েছে।’’
আরও পড়ুন: রাজ্য শিল্পবান্ধব: আগ্রহী শিল্পপতিরা, আসানসোল-দুর্গাপুরে নতুন করে শিল্পস্থাপনের উদ্যোগ