প্রতিবেদন : ভুটান থেকে প্রবাহিত নদীগুলির জলে উত্তরবঙ্গের বন্যা নিয়মিত ঘটনা। কেন্দ্রকে বারবার বলেও এই সমস্যার সমাধান হয়নি। এবার কেন্দ্রের তোয়াক্কা না করে ডুয়ার্সের একাধিক নদীতে ড্রেজিংয়ের পরিকল্পনা নিল রাজ্যের সেচ দফতর। খরচ কমাতে নতুন রয়্যালটি মডেলে কাজ করা হবে। সরকার কোনও অর্থ ব্যয় না করে নদীখাত থেকে তোলা বালি-পাথর উত্তোলনের বিনিময়ে ঠিকাদারদের খননের দায়িত্ব দেবে।
আরও পড়ুন-এবার শহরে গাছেদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা পুরসভার
ইতিমধ্যে সেচ দফতর জয়ন্তী-সহ উত্তরবঙ্গের একাধিক নদীর সম্ভাব্য খননস্থল চিহ্নিত করে প্রাথমিক সমীক্ষা চালিয়েছে। তবে বক্সা টাইগার রিজার্ভের মধ্যে দিয়ে প্রবাহিত জয়ন্তী নদীর ক্ষেত্রে বন দফতরের ছাড়পত্র প্রয়োজন হবে। ওই ছাড়পত্র মিললেই ড্রেজিংয়ের কাজ শুরু করবে সেচ দফতর। নদ-নদী ও খাল সংস্কারে রাজ্যের তরফে এটি একটি অভিনব উদ্যোগ। রাজ্যের সেচ ও জলসম্পদ অনুসন্ধান দফতরের মন্ত্রী মানস ভুঁইয়া জানিয়েছেন, রাজ্য সরকার পরিকল্পনা করছে নদীবক্ষ থেকে বালি ও পলিমাটি সরিয়ে টেন্ডারের মাধ্যমে বিক্রি করে রাজস্ব আদায়ের। মন্ত্রীর দাবি, এই প্রক্রিয়ায় প্রায় ১১২ কোটি টাকার রাজস্ব আসতে পারে, যা দিয়ে সংস্কার সম্ভব হবে। মন্ত্রী আরও জানান, বিধানসভা কেন্দ্রভিত্তিক সার্ভে করে খালের সংখ্যা, মজে যাওয়া খাল ও সংস্কারের প্রয়োজন— সবকিছুর হিসাব তৈরি হয়েছে। কেন্দ্র কোনও সহযোগিতা করছে না, তাই রাজ্য একক প্রচেষ্টায় বন্যা নিয়ন্ত্রণের এই কাজ হাতে নিয়েছে।