তাজপুর বন্দর নিয়ে নয়া দরপত্রের প্রস্তুতি রাজ্যের

Must read

প্রতিবেদন: চার বছর আগে ছাড়পত্র দেওয়া হলেও কোনও কাজ না হওয়ায় অবশেষে তাজপুর (Tajpur Port) গভীর সমুদ্রবন্দর প্রকল্পে আদানি গোষ্ঠীর সঙ্গে চুক্তি বাতিল করল রাজ্য সরকার। সোমবার মন্ত্রিসভার বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে। একই সঙ্গে রাজ্য এবার নতুন করে টেন্ডার ডাকার প্রস্তুতি নিচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আগেই এ বিষয়টি জানিয়েছিলেন। প্ল্যান বি তৈরিই ছিল। ২০২১ সালের সেপ্টেম্বরে রাজ্য মন্ত্রিসভা আদানি পোর্টস অ্যান্ড এসইজেড-এর প্রস্তাবে সম্মতি দেয় এবং ২০২২ সালে লেটার অফ ইন্টেন্টও দেওয়া হয়। কিন্তু প্রতিরক্ষা ও নৌ-পরিবহন-সহ কেন্দ্রীয় মন্ত্রকের বিভিন্ন অনুমতি না আসা এবং প্রকল্পে অগ্রগতি না-হওয়ায় দীর্ঘদিন ধোঁয়াশা তৈরি হয়। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আগেই ইঙ্গিত দিয়েছিলেন টেন্ডার নতুন করে ডাকার কথা। এবার তা চূড়ান্ত হল। প্রথম টেন্ডার অনুযায়ী, ১২৫ একর সমুদ্রতীরবর্তী জমি এবং শিল্প প্রকল্পের জন্য আরও ১ হাজার একর জমি দেওয়ার কথা ছিল, যার জন্য কোনও অতিরিক্ত জমি অধিগ্রহণের দরকার পড়বে না বলেই জানানো হয়েছিল। নতুন টেন্ডারে এই জমির বিন্যাস অপরিবর্তিত থাকছে কি না সে-বিষয়েও স্পষ্টতা আসা বাকি।
তাজপুর বন্দর (Tajpur Port) নির্মিত হলে তা রাজ্যের প্রথম গভীর সমুদ্রবন্দর হবে। ২৫ হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্পে প্রায় ২৫ হাজার মানুষের সরাসরি এবং বহু মানুষের পরোক্ষ কর্মসংস্থানের সম্ভাবনা রয়েছে বলে দাবি করেছে রাজ্য প্রশাসন। কলকাতা থেকে প্রায় ১৭০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত বন্দরটি ১২ মিটার ড্রাফট-সহ নির্মিত হবে এবং ডানকুনি ফ্রেইট করিডর ও উত্তরবঙ্গের সঙ্গে সহজ যোগাযোগ গড়ে তুলবে বলে আশা করা হচ্ছে।

আরও পড়ুন- সংসদের বিশেষ অধিবেশনে ডাকতে ১৬ টি বিরোধী দল একযোগে চিঠি দেবে প্রধানমন্ত্রীকে, জানালেন ডেরেক

Latest article