প্রতিবেদন : রবি মরশুমে ফসলের উৎপাদন বাড়াতে গতবারের থেকে আরও বেশি জমিতে সেচের জল সরবরাহ করবে রাজ্য সরকার (West Bengal Government)। গত বছরের তুলনায় এ বছর ৩২ শতাংশ বাড়ছে সেচের জলের পরিমাণ। ডিভিসি ক্যানেল, ময়ূরাক্ষী ক্যানেল, তিস্তা ক্যানেল দিয়ে চাষের জল সরবরাহ করা হবে। মোট ১৫ লক্ষ জমিতে জল দেওয়া হবে। সেচের জল নিয়ে ডিভিসির সঙ্গে রাজ্য সরকারের বৈঠকে এমনই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। রাজ্যের কৃষিমন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় এই বৈঠক শেষে জানিয়েছেন, রবি মরশুমে চাষের জন্য আগামী ৫ জানুয়ারি ডিভিসি, বিভিন্ন ক্যানেল থেকে জল ছাড়বে। নবান্নের ওই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ। তিনি ছাড়াও সেচ, কৃষি ও বিদ্যুৎ দফতরের সচিব উপস্থিত ছিলেন। ছিলেন রাজ্যের সেচমন্ত্রী মানস ভুঁইয়া, পঞ্চায়েতমন্ত্রী প্রদীপ মজুমদার, কৃষিমন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়, বিদ্যুৎমন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন ডিভিসির একজন প্রতিনিধিও।
আরও পড়ুন- ডিভিসির ভোটে বিপুল জয় তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠনের
সেই দুর্গাপুজোর আগে থেকে ডিভিসির সঙ্গে রাজ্য প্রশাসনের টানাপোড়েন চলছে। সাম্প্রতিক বন্যার কারণে ডিভিসি না জানিয়ে দামোদরে জল ছেড়েছিল বলে অভিযোগ তোলে রাজ্য সরকার। সেই থেকেই দুই তরফে চাপানউতোর চলছে। প্রতিবছর রবি ও বোরো মরশুমে পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমান, বাঁকুড়া, হুগলি ও হাওড়া জেলায় ডিভিসির সেচের জল ছাড়ার বিষয়ে ডিভিশনাল কমিশনার বৈঠক করেন। ডিভিসি আগে থেকেই জানিয়ে দেয় তারা কতটা জল দিতে পারবে। তারপর সেই অনুযায়ী এই পাঁচ জেলা ঠিক করে কে কতটা জমিতে চাষের জল পাবে। ডিভিসি রাজ্যকে জানিয়ে দেয় তারা এবার ২ লক্ষ ২১ হাজার একর ফুট সেচের জল দিতে পারবে। রাজ্য জানালেই তারা সেচের জল ছাড়তে শুরু করবে। ২০২১ সালে ডিভিসি এই মরশুমের জন্য জল দিয়েছিল ৩ লক্ষ ৩০ হাজার একর ফুট। তারপর থেকে ক্রমাগত জল ছাড়ার পরিমাণ কমেছে। কমতে কমতে এবার তা নেমেছে ২ লক্ষ ২১ হাজার একর ফুটে। স্বাভাবিক কারণে ডিভিসির সেচসেবিত এলাকায় রবি ও বোরো মরশুমে চাষের ক্ষেত্রও কমেছে। ২০২১ সালে পূর্ব বর্ধমানে ৬৫ হাজার ৯০০ একরে সেচের জল মিলেছিল। কমতে কমতে এবার তা ৩৭ হাজার একরে নেমেছে। ডিভিসি কর্তৃপক্ষের দাবি, বিভিন্ন জলাধারে কত পরিমাণ জল রয়েছে তার উপর নির্ভর করে সেচের জল দেওয়া হয়।