প্রতিবেদন : প্রাকৃতিক বিপর্যয় মোকাবিলায় বিশেষ ত্রাণ তহবিল (relief fund) গঠন করার সিদ্ধান্ত নিল রাজ্য সরকার। এই ত্রাণ তহবিলে সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে শিল্পপতি, কর্পোরেট সংস্থা— সকলেই অর্থ সাহায্য করতে পারবেন। এই তহবিলের মূল লক্ষ্য ভবিষ্যতে যে কোনও প্রাকৃতিক বিপর্যয় মোকাবিলায় অর্থ ব্যবহার করা।
উত্তরবঙ্গের সাম্প্রতিক দুর্যোগ পরিস্থিতি একা হাতে সামাল দিয়েছে রাজ্য। কেন্দ্র কোনওরকম সাহায্যের হাত বাড়ায়নি। তাই এবার দুর্যোগ মোকাবিলায় নিজেরাই স্বাবলম্বী হওয়ার উদ্যোগ নিয়েছে রাজ্য। খুব শীঘ্রই এই ত্রাণ তহবিলে অনুদান দেওয়ার জন্য নির্দিষ্ট ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট নম্বর এবং ট্রান্সফার সংক্রান্ত নির্দেশিকা জানিয়ে দেওয়া হবে। এর ফলে সাধারণ নাগরিক থেকে শুরু করে বড় বড় বাণিজ্য সংস্থা— সকলেরই অংশগ্রহণে একটি বৃহত্তর তহবিল গড়ে তোলা সম্ভব হবে বলে মনে করা হচ্ছে।
উত্তরবঙ্গের সাম্প্রতিক বন্যা ও ভূমিধসের ফলে বহু মানুষের জীবন বিপর্যস্ত হয়েছে। অবকাঠামোগত ক্ষয়ক্ষতির পাশাপাশি বহু পরিবার বাস্তুচ্যুত হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে সরকারি ত্রাণের পাশাপাশি সামাজিক উদ্যোগ ও মানুষের সহানুভূতিই বড় শক্তি হতে পারে। এর আগে কোভিড মহামারীর সময়ও রাজ্য সরকার ওয়েস্ট বেঙ্গল ইমার্জেন্সি রিলিফ ফান্ড গঠন করেছিল। সেই সময়েও সাধারণ মানুষ ও কর্পোরেট সংস্থা বিপুল পরিমাণ অর্থদান করেছিলেন। উল্লেখযোগ্যভাবে, অর্থদাতাদের আয়কর ছাড়ের সুবিধাও দেওয়া হয়েছিল। এবারও রাজ্য সরকার সেই একই সুবিধা রাখার চিন্তাভাবনা করছে। সরকারের এই উদ্যোগের ফলে একদিকে যেমন বিপর্যস্ত মানুষদের তাৎক্ষণিক সাহায্য পৌঁছে দেওয়া সম্ভব হবে, তেমনই রাজ্যের দুর্যোগ মোকাবিলায় তহবিলও দীর্ঘমেয়াদি ও শক্তিশালী হবে।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অতীতে বারবার বলেছেন, দুর্যোগের সময় মানুষের পাশে থাকা আমাদের নৈতিক দায়িত্ব। সেই দৃষ্টিকোণ থেকেই রাজ্যের এই নতুন ত্রাণ তহবিল (relief fund) উদ্যোগ। খুব শীঘ্রই রাজ্য সরকারের তরফে আনুষ্ঠানিক বিজ্ঞপ্তি জারি করে তহবিলের নাম, ব্যাঙ্ক বিবরণ ও অনুদান দেওয়ার পদ্ধতি জানানো হবে।
বিপর্যয় মোকাবিলায় নয়া পদক্ষেপ, বিশেষ ত্রাণ তহবিল গঠন রাজ্যের
