কাজের স্বচ্ছতা আনতে রাজ্যের দৃঢ় পদক্ষেপ, গ্রামোন্নয়নে এবার সোশ্যাল অডিট

প্রশাসনিক সূত্রে জানা গিয়েছে, চলতি আর্থিক বছরে এখনও পর্যন্ত ১০০ দিনের কাজ, আবাস ও সড়ক যোজনায় কোনও কেন্দ্রীয় বরাদ্দ মেলেনি।

Must read

প্রতিবেদন : একশো দিনের কাজ, আবাস যোজনার মতো এবার পঞ্চদশ অর্থ কমিশনের টাকায় গ্রামোন্নয়নের কাজের আলাদা ভাবে সোশ্যাল অডিট করা হবে। পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়নের কাজে স্বচ্ছতা আনতে এই সিদ্ধান্ত। এর ফলে গ্রামোন্নয়নের বিভিন্ন কাজে অনিয়মের প্রবণতা কমবে বলে মনে করা হচ্ছে। গ্রামীণ আবাস যোজনার পৃথক সোশ্যাল অডিট শুরু হয় ২০১৯ সালে। তার আগে ১০০ দিনের কাজের সঙ্গেই এই প্রকল্পের সোশ্যাল অডিট হত।

আরও পড়ুন-২০ জন বাংলাদেশি মৎস্যজীবী উদ্ধার

প্রশাসনিক সূত্রে জানা গিয়েছে, চলতি আর্থিক বছরে এখনও পর্যন্ত ১০০ দিনের কাজ, আবাস ও সড়ক যোজনায় কোনও কেন্দ্রীয় বরাদ্দ মেলেনি। নাম বদল সহ বেশ কিছু অনিয়মের কারণে প্রকল্পগুলির টাকা দেওয়া হচ্ছে না বলে কেন্দ্রের তরফে রাজ্যকে জানানো হয়েছে। তবে পঞ্চদশ অর্থ কমিশনের আওতায় ২০২১-২২ অর্থবর্ষের গ্রামোন্নয়নের বরাদ্দ হিসাবে তিন হাজার কোটি টাকার বেশি দেওয়া হয়েছে। পঞ্চদশ অর্থ কমিশনের টাকা খরচে স্বচ্ছতা বজায় রাখতেই সোশ্যাল অডিট করানোর সিদ্ধান্ত বলে মনে করা হচ্ছে। স্বচ্ছ ভাবমূর্তি গড়ার ক্ষেত্রে এই পদক্ষেপ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেবে বলেই মনে করছে রাজ্যের আমলা মহল।

আরও পড়ুন-ভাইফোঁটায় হিট ‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডার’ ও ‘খেলা হবে’ মিষ্টি

প্রসঙ্গত, কেন্দ্রের নির্দেশের পর এই দুই প্রকল্পের আলাদা সোশ্যাল অডিট শুরু করে রাজ্য। সেই নিয়মই এবার প্রযোজ্য হচ্ছে পঞ্চদশ অর্থ কমিশনের অর্থে গ্রামোন্নয়নের কাজের ক্ষেত্রেও। নবান্ন সূত্রে খবর, পৃথকভাবে এই সোশ্যাল অডিট করতে সম্প্রতি কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রক কিছু নির্দেশ পাঠিয়েছে রাজ্যকে। তবে নগরোন্নয়ন এবং স্বাস্থ্যক্ষেত্রে পঞ্চদশ অর্থ কমিশনের বরাদ্দ অর্থে হওয়া কাজের সোশ্যাল অডিট নিয়ে এখনও কোনও নির্দেশিকা আসেনি বলেই নবান্ন সূত্রে খবর। মূলত দু’টি খাতে পঞ্চদশ অর্থ কমিশনের টাকা বরাদ্দ হয়।

আরও পড়ুন-রাজ্য কর্মচারীদের ডিএ দিক কেন্দ্রই, উঠল দাবি

শর্তাধীন এবং নিঃশর্ত তহবিল। শর্তাধীন তহবিলের টাকা শৌচালয় তৈরি এবং পানীয় জল সরবরাহের কাজে ব্যবহার বাধ্যতামূলক। আর, নিঃশর্ত তহবিলের টাকা ব্যবহার করা যেতে পারে বিদ্যুৎ সরবরাহ, সৌরবিদ্যুতের ব্যবহার, রাস্তা তৈরি ইত্যাদি কাজে। দুই ক্ষেত্রের কাজেরই সোশ্যাল অডিট হবে। এক্ষেত্রে মেনে চলা হবে কেন্দ্রীয় সরকারের গাইডলাইন। সোশ্যাল অডিটের বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে রাজ্যের এক আধিকারিক বলেন, টাকা ছাড়ার ক্ষেত্রে কেন্দ্র যাতে নতুন করে কোনও অজুহাত না দিতে পারে, সেই কারণে অগ্রাধিকার সহকারে এই কাজ করা হচ্ছে।

Latest article