ফিলস লাইক ফর্টি নাইন
তীব্র গরমে নিয়মমাফিক দু’-চারটে কালবৈশাখী এবং কয়েকটা নিম্নচাপ তাদের রুটিন ডিউটি সেরে ফিরে গেছে নিজ নিকেতনে। এক-দু’দিনের ঝড়-জল, বৃষ্টির স্বস্তি এবং অস্বস্তি পেরিয়ে আবার অনন্ত গরম। এবছর শুরু থেকেই রেকর্ড গরম পড়েছে। নাজেহাল সব্বাই। তাপমাত্রা কোথাও ৩৭, কোথাও ৩৮, কোথাও ৩৯— তাপমাত্রার হেরফের বিশেষ নেই বললেই চলে। আর গরমের অনূভূতিটা যেন পঞ্চাশ ছুঁইছুঁই। ভ্যাপসা দম আটকে যাওয়া পরিবেশ, ঘাম সঙ্গে হলকা বাতাস। শহর, শহরতলি, গ্রামাঞ্চল জুড়ে চলছে হিটওয়েভ বা তাপপ্রবাহ। এরই মাঝে চলছে স্কুল, কলেজ, অফিসও। গরমের ছুটির আগে স্কুলের সময়সীমা সামান্য এগোলেও লাভ কিছু হয়নি। গরম থেকে বাঁচতে চালু হয়েছিল অনলাইন ক্লাস, তাতেও স্বস্তি মেলেনি। গরমে, ঘামে তেতে পুড়ে পড়াশুনোটা চালিয়ে যেতে হয়েছে। সারাদিন ধরে এসি! তাতে বিপত্তি বেড়েছে। ঠান্ডা তো হয়ইনি ঘর উপরন্তু গরমের সঙ্গে লড়াই করতে গিয়ে বেড়েছে এসির বিল। গরমের ছুটিতেও একই চিত্র। রেমালের তাণ্ডবে চারপাশটা তছনছ হলেও গরম আবার স্বমূর্তিতে। কাজেই স্কুল-কলেজের ছেলেমেয়েদের অবস্থা সঙ্গীন। অতিমারির দু’বছর বন্ধু-বান্ধবদের থেকে দূরে থাকা ছেলেপিলেরা স্কুলে গিয়ে খেলাটাকে আর মিস করতে চায় না। ফলে শরীর থেকে অতিরিক্ত ঘাম বেরিয়ে ডিহাইড্রেশন হওয়াটা স্বাভাবিক। এর পাশাপাশি অনেক মা-ই সন্তানকে স্কুলে দিয়ে বাইরে বসে থাকেন, তাঁরাও ডিহাইড্রেশনের কবলে পড়ছেন। শুধু বাচ্চা নয়, মায়ের সুস্থতাও এই সময় সমান জরুরি কারণ সন্তানকে সুস্থ রাখার সব দায়িত্বই মায়ের ওপরেই বর্তায়।
আরও পড়ুন-ভুবনজোড়া ভালবাসার ফাঁদ
কিন্তু সমস্যা হল প্রবল গরমে মায়েরা বুঝে উঠতে পারেন না সন্তানকে কীভাবে সুস্থ এবং সুরক্ষিত রাখবেন, নিজেরাই বা কীভাবে সুস্থ থাকবেন।
নাওয়া-খাওয়া ভুলে সারাদিন ছেলেমেয়ের পিছনে ছুটছেন তাঁরা। তাহলে ভরা গ্রীষ্মে মা আর সন্তানের রক্ষাকবচ কী? গরমের প্রকোপ থেকে কীভাবে বাঁচাবেন নিজেকে এবং সন্তানকে।
জল চাই জল
তাপমাত্রা পারদ যতই ঊর্ধ্বগামী হবে ততই বাড়বে ডিহাইড্রেশন। বিশেষ করে স্কুল, কলেজের ছেলেমেয়েদের। আসলে আমাদের শরীরে বেশির ভাগটাই জল। দেহের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ থেকে খাবার হজম, সব কিছুতেই এই জলীয় অংশের ভূমিকা অনেক। নিঃশ্বাস, ঘাম, প্রস্রাবের মতো নানা শারীরবৃত্তীয় প্রক্রিয়ার মাধ্যমে প্রতিনিয়ত জল বেরোতে থাকে শরীর থেকে আর এটা বাচ্চাদের বেশি হয় তার কারণ সারাক্ষণ কোনও না কোনও ভাবে তারা ভীষণ অ্যাকটিভ। রোদকে পরোয়া না করে খেলাধুলো হোক, টিউশন হোক বা ক্যারাটে ক্লাস। অতিরিক্ত ঘামের মাধ্যমে প্রচুর জল বেরিয়ে তাদের শরীর ডিহাইড্রটেড হয়ে যায়।
প্রবল গরমে হিট ফিভার, ডায়েরিয়া হলেও কিন্তু ডিহাইড্রেশন হয়। তাহলে একজন মা কী করে বুঝবেন ডিহাইড্রেশন বা শরীরে জলের ঘাটতি হচ্ছে। বাচ্চা কি একটু ঝিমিয়ে পড়েছে স্কুল থেকে ফিরে? বিরক্ত হয়ে যাচ্ছে কথা বললেই? গলা শুকিয়ে যাচ্ছে, বারবার জল খাচ্ছে?
আরও পড়ুন-ট্রফি হাতছাড়া, কান্না রোনাল্ডোর
গা গুলাচ্ছে কি? তার মানেই ডিহাইড্রেশন। এই সময় চট করে ওআরএস গুলে দিন এবং একটু জলে ভেজানো কাপড় দিয়ে গা মুছিয়ে খানিকক্ষণ বিশ্রাম করতে দিন। দইয়ের ঘোল বা আখের রস অথবা ডাবের জল খাওয়াতে পারেন তবে প্রাথমিকভাবে নুন-চিনির জলটাই সবচেয়ে কাজের।
বাড়িতে এই গরমের দিনে ইলেকট্রোলাইট রয়েছে এমন স্পোর্টস ড্রিঙ্কস রাখুন ফ্রিজে। সেটা খেলেও দ্রুত কাজ হবে।
ডিহাইড্রেশন হলে চট করে একটা কলা খাইয়ে দিতে পারেন। অনেক সময় ডিহাইড্রেশনে শরীরে পটাশিয়ামের অভাব হয়। কলা সেই ঘাটতি পূরণ করবে। মায়েরা সারাদিনে অন্তত তিন থেকে চার লিটার জল সারাদিনে খান। দুপুরে শসা জাতীয় কিছু খান যাতে জল রয়েছে।
টিফিন ব্রেক
কী খাবার দিচ্ছেন সন্তানকে তার ওপর অনেকটাই নির্ভর করে সুস্থতা। খেয়াল রাখতে হবে খাবারের মধ্যে দিয়ে পর্যাপ্ত পুষ্টি এবং জল যেন শরীরে ঢোকে। বাচ্চাদের ক্ষেত্রে এই সময় গুরুত্বপূর্ণ হল টিফিন। এই সময় বোতলে প্লেন জল ছাড়াও আলাদা করে লেবু, নুন, চিনির জল দিতে পারেন, যেটা সারাদিন খেলে শরীরে সোডিয়াম, পটাশিয়ামের ভারসাম্য বজায় থাকবে। কোনও একটা সাইট্রাস ফলের শরবতও দিতে পারেন। যেমন মোসাম্বি বা কমলালেবু। লস্যি বা ঘোল স্কুলে না দেওয়াই ভাল। যেহেতু দই থাকে গরমে পচন ধরে যেতে পারে। দইয়ের ঘোল বা লস্যি দিন বাড়ি ফেরার পর। চিনির পরিমাণটা কম দিন তাতে। গোলমরিচ গুঁড়ো আর অল্প বিটনুন, স্বাদটাকে ব্যালান্স করতে অল্প চিনি দিয়ে ঘোল করুন।
একটা-দুটো গোটা ফল অবশ্যই দেবেন। শসা, আপেল, লেবু, স্ট্রবেরি, তরমুজ, খরমুজ, শাকালু দিতে পারেন। চিঁড়ে আর সুজির প্যানকেক করে দিন, ওটসের চিলা করে দিতে পারেন বা স্প্রাউটস আর বেসনের চিলা দিতে পারেন। সঙ্গে কোনও সস না দিয়ে অল্প রায়তা দিন, পুদিনা বা ধনেপাতার চাটনি দিন। সুজি দিয়ে ইডলি দিতে পারেন তার সঙ্গে কর্ন বা ছোলা, পেঁয়াজ, টমেটোর স্যালাড দিতে পারেন। ওটস বা ছোলা শরীরে এনার্জি দেবে, প্রোটিন এবং ফাইবার থাকায় পুষ্টিগুণ বাড়াবে। গরমে পোহা টিফিনের জন্য খুব ভাল অপশন।
ওর মধ্যে পেঁয়াজ, বিনস, কারিপাতা দিলে একসঙ্গে অনেকটা পুষ্টি শরীরে ঢুকবে।
সর্বোপরি শরীর ঠান্ডা এবং হাইড্রেটেড থাকবে। বাড়িতে বিভিন্ন ফল দিয়ে একটু ঠান্ডা কাস্টার্ড করে রাখুন যাতে বাড়ি ফিরে ঠান্ডা খাবারে স্বস্তি মেলে।
আরও পড়ুন-ওভারহেড তার ছিঁড়ে পুরীগামি নীলাচল এক্সপ্রেসে রক্তাক্ত যাত্রী
বাচ্চাকে আনা-নেওয়া করলে মায়েরাও ব্যাগে ঠান্ডা জল ছাড়াও নুন, চিনি, লেবুর শরবত ক্যারি করুন। সঙ্গে রাখুন কয়েক টুকরো শসা, জামরুল, শাকালু, পেয়ারা। এতে শরীর হাইড্রেটেড থাকবে এবং পর্যাপ্ত পুষ্টি পাবে। একটু ছোলা সেদ্ধ করে পিঁয়াজ, লঙ্কা, নুন, লেবু দিয়ে সঙ্গে নিয়ে যান। খুব উপকারী। শরীর ঠান্ডা রাখবে, লু লাগতে দেবে না। গরমের খাদ্যতালিকায় প্রোটিন, আয়োডিন, ক্যালসিয়াম, ভিটামিন ডি ইত্যাদি সঠিক পরিমাণে রাখুন।
সর্দি-গর্মির ঝুঁকি নয়
স্কুল-কলেজে যাওয়া ছাড়া বেলা ১১টা থেকে বিকেল ৪টে পর্যন্ত বাড়ির বাইরে বেরতে না দিলেই ভাল। রোদ না পড়লে বিকেল পাঁচটার আগে বাচ্চাকে খেলাধুলো করতে দেবেন না। স্কুল শুরু হলে বেরনোর সময় একটা বড় রুমাল ভিজিয়ে বাচ্চার মুখ ঢেকে বের করুন। পথে ভিজে রুমাল দিয়ে মুখ চোখ ঘাড় গলা মুছে দিন।
বাচ্চা স্কুলে আনতে যান অনেক মা-ই। চেষ্টা করুন একটা ওড়না বা সুতির বড় কাপড়ে দিয়ে মুখ চোখ এবং দেহের উপরিভাগ ঢেকে বেরতে। সুতির জামা পরুন।
প্রচণ্ড গরম হচ্ছে, রাস্তায় বের হয়ে কোল্ড ড্রিঙ্ক খেয়ে নিলেন- এই ভুলটা করবেন না অথবা সন্তান চাইছে বলেই দিয়ে দেবেন না।।একই ভাবে, কোনও গরম থেকে বাড়ি এসেই এসি রুমে ঢুকতে দেবেন না বাচ্চাকে বা নিজেও ঢুকবেন না। এতে সর্দি-গর্মি হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি থাকে। প্রচণ্ড গরম থেকে প্রচণ্ড ঠান্ডা- এই ট্রানজ়িশনের মধ্যে কিছু সময় নিন যাতে শরীরটা আবহাওয়ার সঙ্গে মানিয়ে নিতে পারে। আর শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত ঘরে থাকার অর্থ এই নয় যে আপনি গরমকালে শীতকালের মতো আবহাওয়া তৈরি করবেন। বরং গরম আবহাওয়াকে নিয়ন্ত্রণে রাখবেন। এতেই সর্দি-গর্মির ঝুঁকি এড়াতে পারবেন।
এরপরেও যদি তাপপ্রবাহে লু লেগে যায় বাচ্চার তাহলে সঙ্গে সঙ্গে তাকে কোনও ছায়ায় বসিয়ে জামাটা হাল্কা করে খুলে দিন। এর পাশাপাশি সাধারণ জলে রুমাল ভিজিয়ে গা, হাত-পা মুছে দিন। সেই সঙ্গে ওআরএস কিংবা নুন, চিনির জল খাওয়ান। গরম লেগে পথে-ঘাটে শরীর খারাপ লাগলে সঙ্গে সঙ্গে ঘাড়ে বা গলায় জল দিতে যাবেন না। কিছুক্ষণ বসে প্রথমে গা, মুখ মুছে তারপর দরকারে জল ঢালুন।
সূর্যের আলো থেকে নিরাপদ দুরত্বে
ছোটদের ঘরে আটকে রাখা যায় না স্কুল, কলেজ ছাড়াও ঘরের বাইরে যেতে বা খেলাধুলা করতে পছন্দ করে তারা, এটাই স্বাভাবিক। সমীক্ষা অনুযায়ী ছয় মাসের কম বয়সি শিশুদের সরাসরি সূর্যের আলো থেকে দূরে রাখা উচিত সেই সঙ্গে বড় বাচ্চাদেরও গ্রীষ্মকালীন রোদ থেকে যতটা সম্ভব দূরে রাখা প্রয়োজন। বিশেষ করে, বেলা ১১টা থেকে বিকেল তিনটের সময়সীমায়।
যুক্তরাষ্ট্রের জনস হপকিন্স ইউনিভার্সিটি অ্যান্ড মেডিসিনের তথ্য অনুযায়ী, সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মি দ্বারা ১৮ বছরের নিচের শিশুদের ত্বক ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে।
সেই কারণে যদি এই সময় ছোটদের বাইরে নিয়ে যান তবে অবশ্যই সানস্ক্রিন লাগিয়ে তারপর বেরোন। পুরো গা ঢাকা থাকবে এমন পোশাক পরান। সেইসঙ্গে ছাতা অবশ্যই রাখুন।
নিজেও সানস্ক্রিন মেখে তবেই বাইরে বেরন। বেরনোর অন্তত পক্ষে আধঘণ্টা আগে সানস্ক্রিন মেখে নিন। সানগ্লাস রাখুন সঙ্গে।
পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখুন
গরমে ভাইরাস, ব্যাকটেরিয়া, ফাঙ্গাস, প্যারাসাইটজনিত রোগ বাড়ে। কারণ তাপমাত্রার সঙ্গে এগুলোর সংক্রমণ বৃদ্ধির একটি সম্পর্ক আছে। এই সময় ভাইরাল ডায়েরিয়া ও নিউমোনিয়ার পাশাপাশি চিকেন পক্স বা জলবসন্ত, রুবেলা, মাম্পস, স্ক্যাবিস বা খোঁসপাচড়া ইত্যাদি বেড়ে যায়। স্ক্যাবিস খুব বেশি হয় এসময় অনেক শিশুরই। ফলিকুলাইটিসের কারণে ত্বকে সংক্রমণ বাড়ে। মাথার চুলের ছিদ্রে ঘাম জমে সংক্রমণ হয়। ব্রণ, ফুসকুড়ি বেরয়। ত্বকের ভাঁজযুক্ত অংশেও ফুসকুড়ি হয়। এমনকী বড়দেরও হয় এইসব ত্বকজনিত সমস্যা। তাই যতটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখুন বাচ্চাকে।
দিনে দু’বার স্নান
সকাল এবং বিকেলে খেলাধুলা থেকে ফিরে পুরো মাথা থেকে স্নান করান। অ্যালোভেরা বা নারকেলের মতো পুষ্টিকর এবং ময়েশ্চারাইজিং উপাদান রয়েছে এমন সাবান বা বডি ওয়াশ ব্যবহার করুন। দেহের খাঁজযুক্ত অংশ পরিষ্কার রাখুন বাচ্চার। গ্রীষ্মে ঘাম জমে ছোটদের মাথার ত্বকে প্রচণ্ড ফাঙ্গাল ইনফেকশন হয়। তাই শ্যাম্পু দিন আর তা যেন হয় ক্ষতিকারক প্যারাবেন বা সালফেট মুক্ত। স্নানের পর নারকেল এবং শিয়া বাটার রয়েছে এমন কোন ময়েশ্চারাইজার লাগান বাচ্চাকে।
এই ধরনের উপাদানে সমৃদ্ধ সাবান শ্যাম্পু শুধু বাচ্চা নয়, মাকেও সুস্থ-সতেজ রাখবে। এগুলো গ্রীষ্মের ত্বকের শুষ্কতাও প্রতিরোধ করবে।
আরও পড়ুন-বিভাজনের রাজনীতি করে পদমর্যাদা ধুলোয় মিশিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী মোদি, খোলা চিঠিতে নিশানা মনমোহনের
পাউডার দেবেন না
গ্রীষ্মকালে পাউডার না দেওয়াই ভাল। এতে ঘামাচির প্রবণতা অনেকটা বেড়ে যায়। পাউডার দিলেও ট্যাল্ক মুক্ত পাউডার ব্যবহার করুন। ট্যাল্ক বা ট্যালকম পাউডারে কার্সিনোজেনিক থাকে যা ত্বকের ভাল তো করবেই না, উল্টে বিপদ বাড়বে।
সদ্যোজাতর ক্ষেত্রে
সদ্যোজাত শিশু যারা এখনও মাতৃদুগ্ধ পান করছে তাদের আলাদা হাইড্রেশনের জন্য জলের প্রয়োজন নেই। মায়ের দুধটাই সেখানে যথেষ্ট শিশুর সুস্থতার জন্য। তাই সারাদিনে বেশি করে ফিড করান, ওতেই জলের ঘাটতি পূরণ হবে। যতটা সম্ভব ঠান্ডা জায়গায় রাখুন শিশুকে। ঘাম যেন না হয় লক্ষ রাখুন। বাচ্চাকে ফিড করাচ্ছেন তাই মার শরীরেও যাতে হাইড্রেশনের অভাব না হয় সেদিকে লক্ষ রাখুন এবং পর্যাপ্ত পরিমাণে জল বা জল জাতীয় খাদ্য, দুধ এবং প্রোটিন, ফাইবার জাতীয় খাবার বেশি করে খান।