প্রতিবেদন: দুর্নীতির অভিযোগের সারবত্তা প্রমাণিত হওয়ায় খোদ সুপ্রিম কোর্টের (Supreme court) প্রধান বিচারপতি শাস্তির সুপারিশ করে সংসদকে সিদ্ধান্ত নিতে বলেছেন। এরপর বিতর্কিত বিচারপতি যশবন্ত ভার্মার অপসারণ সময়ের অপেক্ষা মাত্র। আসন্ন বাদল অধিবেশনেই এনিয়ে সিদ্ধান্ত নিতে পারে সংসদ। তবে এই পরিস্থিতিতেও পদত্যাগে নারাজ ভার্মা। তিনি যদি নিজে থেকে পদত্যাগ না করেন, তাহলে জুলাইয়ের দ্বিতীয়ার্ধে শুরু হওয়া বাদল অধিবেশনেই তাঁকে অপসারণের প্রক্রিয়া শুরু করবে কেন্দ্র।
আরও পড়ুন-তৃণমূলের পথেই প্রতিবাদ বিরোধীদের
এর আগে তৎকালীন প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খান্না নগদকাণ্ডে তদন্ত কমিটির রিপোর্ট খতিয়ে দেখে ভার্মার ইমপিচমেন্ট-এর (অপসারণ) বিষয়ে সুপারিশ করে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে চিঠি দেন। ভার্মার সরকারি বাসভবনে হিসাববহির্ভূত ১৫ কোটি অর্দ্ধদগ্ধ নোট পাওয়ার পর তদন্ত চালায় সুপ্রিম কোর্ট। তৎকালীন প্রধান বিচারপতি আনুষ্ঠানিকভাবে বিচারপতি ভার্মাকে অপসারণের প্রক্রিয়া শুরু করার সুপারিশ করলেও এখনও সেই প্রক্রিয়া শুরু করেনি কেন্দ্র। অন্যদিকে পদত্যাগের অনুরোধ প্রত্যাখ্যান করেছেন বিচারপতি ভার্মা। নিজেকে ‘নির্দোষ’ বলেও দাবি করেন তিনি। ফলে তাঁকে অপসারণ করতে গেলে এবার সংসদেই ইমপিচমেন্ট প্রস্তাব আনতে হবে। নগদকাণ্ডে অভিযুক্ত বিচারপতি যশবন্ত ভার্মাকে অপসারণের প্রক্রিয়া লোকসভা না রাজ্যসভা, কোন কক্ষে হবে, সেই প্রশ্নে ইতিমধ্যেই জল্পনা শুরু হয়ে গিয়েছে। দুর্নীতি ইস্যুতে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার দাবিতে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়েছেন বিরোধীরাও। আগামী ২১ জুলাই থেকে শুরু হচ্ছে বাদল অধিবেশন। তার আগেই সিদ্ধান্ত নিতে পারে কেন্দ্র।