প্রতিবেদন : রাজ্যের উৎপাদিত পেঁয়াজ চলে যাচ্ছে প্রতিবেশী বাংলাদেশে। অথচ রাজ্যবাসীকে বেশি দাম দিয়ে কিনতে হচ্ছে নাসিকের পেঁয়াজ। কারণ নাসিক থেকে বেশি দাম দিয়ে পেঁয়াজ কিনে আনছেন রাজ্যের ব্যবসায়ীরা। মঙ্গলবার নবান্নে বাজারদর নিয়ন্ত্রণে ডাকা বৈঠক থেকে এ নিয়ে তীব্র অসন্তোষ প্রকাশ করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়।
আরও পড়ুন-বিধানসভার উপনির্বাচন: প্রশাসন পুরোপুরি তৈরি
সবজির আকাশছোঁয়া মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে এদিন নবান্নে বৈঠক ডেকেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। সেখানেই রাজ্যের পেঁয়াজ ব্যবসায়ীদের উদ্দেশে মুখ্যমন্ত্রীর প্রশ্ন, আপনারা নাসিক থেকে কিনলে কি বেশি কমিশন পান? কেন নিজের রাজ্যের চাষিদের কাছ থেকে পেঁয়াজ কিনছেন না? পরামর্শের সুরে তিনি বলেন, নাসিক থেকে পেঁয়াজ আনা বন্ধ করুন। আমাদের রাজ্যে ‘সুখসাগর’ পেঁয়াজ তৈরি হয়। সেটা যথেষ্ট উন্নতমানেরও। ইতিমধ্যে পেঁয়াজ চাষিদের জন্য রাজ্যে চার হাজার পেঁয়াজের গোলাও তৈরি করা হয়েছে বলে জানান মুখ্যমন্ত্রী। একসময় ডিমের জন্য বাংলাকে অন্ধ্রপ্রদেশের ওপর নির্ভর করতে হত। সব কিছু ঠিক থাকলে চলতি বছরের ডিসেম্বর থেকে ডিমের জন্য বাংলাকে আর অন্ধ্রপ্রদেশের ওপর নির্ভর করতে হবে না। ওই প্রসঙ্গ টেনে এদিনের বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী বোঝাতে চেয়েছেন, রাজ্যের চাষিদের কাছ থেকে ব্যবসায়ীরা পেঁয়াজ কিনলে চাষিরা যেমন আর্থিকভাবে লাভবান হবেন তেমনই পেঁয়াজের দিক থেকে বাংলাকেও অন্য রাজ্যের ওপর নির্ভরশীল হয়ে থাকতে হবে না।
মুখ্যমন্ত্রী স্পষ্ট জানিয়েছেন, আমার রাজ্য থেকে পেঁয়াজ বাইরে বাংলাদেশে চলে যাবে, সে যাক, আপত্তি নেই কিন্তু আমাদের চাহিদা মেটানোর পরে তবে তো যাবে! এগুলো দেখা হচ্ছে না কেন? কৃষি দফতর কী করছে? অবিলম্বে সীমান্তে নজরদারি চালানোর নির্দেশও দেন রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।