প্রতিবেদন : বৃহস্পতিবার রাতে রাজ্য জুড়ে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ ঝড়-বৃষ্টির জেরে জেলায় জেলায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে ফসলের। এর জেরে চিন্তায় চাষিরা। দক্ষিণ ২৪ পরগনার রায়দিঘি, মথুরাপুর, কুলপি ডায়মন্ড হারবার, কাকদ্বীপ, সাগর, নামখানা-সহ বিভিন্ন এলাকায় দিশাহারা চাষিরা। মাঠের ফসল তোলার আগেই নষ্ট হল। ভিলেন ঝড়-বৃষ্টি। বোরো ধানগাছ কাটা অবস্থায় বৃষ্টিতে একেবারে তছনছ। বৃষ্টির জলে ভিজে যাওয়ায় শিস থেকে ধান ঝরে যাওয়ার সম্ভাবনা বেশি। তাই পাকাধান ঘরে তোলার জন্য চাষিরা মাঠের জমা জল সরাতে মোটর বসিয়েছেন। মাঠের পর মাঠ জলে ডুবে। এখন এই ধান কীভাবে খামারে তুলবেন তা নিয়ে দুশ্চিন্তায় চাষিরা। এই বৃষ্টিতে মাঠে জল জমে ধান নষ্ট হওয়ায় চাষিরা ধানচাষে প্রচুর আর্থিক ক্ষতির মুখোমুখি। এই অবস্থায় তাঁরা তাকিয়ে রাজ্য সরকারের দিকেই।
আরও পড়ুন-ধাপার নতুন জলপ্রকল্প, আগামী বছরের মধ্যে কাজ শেষের টার্গেট বেঁধে দিলেন মেয়র
একই ছবি উত্তর ২৪ পরগনাতেও। গত দু’দিনের বৃষ্টির জেরে একপ্রকার পাকাধানে মই দেওয়ার মতো অবস্থা উত্তর ২৪ পরগনা জেলার বসিরহাটের বিস্তীর্ণ এলাকার কৃষকদের। ধানচাষে যেমন ক্ষতির সম্ভাবনা ঠিক তেমনি পচন ধরতে পারে সবজিতেও। ব্যাপক পরিমাণে ক্ষতির মধ্যে পড়েছেন সীমান্ত থেকে সুন্দরবনের ১০টি ব্লকের মিনাখাঁ, হাড়োয়া, স্বরূপনগর, হাসনাবাদ, বাদুড়িয়া, বসিরহাট ১ ও ২, হিঙ্গলগঞ্জের ধানচাষিরা। কারণ, বছরের এই সময় ধান কেটে ঘরে তোলেন তাঁরা। কিন্তু তার আগেই এই বৃষ্টিতে পাকাধান মাঠেই নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। দু’দিনের বৃষ্টিতে ধান মাঠের মধ্যে জলে ভাসছে। কেউ কেউ হয়তো সবেমাত্র শুরু করেছিলেন ধানকাটার কাজ। আবার কেউ কেউ অপেক্ষায় ছিলেন ক’টা দিনের। আবার কেউ ধান কেটে মাঠে শুকাতে দিয়েছিলেন। কিন্তু অপেক্ষাই কাল হল। মিনাখাঁর জয়গ্রামের এক চাষি জানান, এই বৃষ্টিতে ধানের প্রচুর ক্ষতি হল। ধান কেটে রাখার পর বৃষ্টি হওয়ায় ধান থেকে অঙ্কুর বের হতে শুরু করেছে। হতাশার সুর কৃষকদের গলায়। ধানের পাশাপাশি সবজি চাষেও বিপুল ক্ষতির সম্ভাবনা। জল জমে রয়েছে গাছের গোড়ায়। সূর্যের আলো উঠতেই পচন ধরতে শুরু করবে বলে আশঙ্কা তাঁদের।