আমি কৃষকবন্ধু
অনাথ দাস, আলিপুরদুয়ার কুমারগ্রাম ব্লকের দক্ষিণ রামপুর
আমরা, যারা কৃষিকাজের সঙ্গে জড়িত, তাদের জীবনে বড় অভিশাপ হল ঋণ। চাষের জন্য বীজ বা সার কিনতে ফি বছর ঋণ নিতে হয়। ফেরত দিতে হয় সুদ সমেত। আগে যেমন, প্রতি বছর আমন ধানচাষের জন্য আমি ঋণ নিয়ে বীজ কিনে বীজতলা তৈরি করতাম। বর্ষা শুরু হলে বীজতলা থেকে ধানের চারা তুলে খেতে বুনতাম। ফসল উঠলে, বিক্রি করে ঋণের টাকা সুদ-সহ পরিশোধ করতাম। এতে লাভের একটা বিরাট অংশই চলে যেত ঋণের সুদ মেটাতে।
আরও পড়ুন-ম্যানগ্রোভ বাঁচাতে নয়া উদ্যোগ রাজ্যসরকারের
কোনওবারে ভালমতো ফসল না হলে হাত পড়ত মাথায়। কী খাব, আর ঋণের টাকাই বা মেটাব কী করে! এই দুশ্চিন্তায়, উদ্বেগে কত কৃষক যে আত্মঘাতী হয়, তার ঠিক নেই। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কৃষকবন্ধু প্রকল্প আমাদের মতো কত কৃষকের যে প্রাণ বাঁচিয়ে দিল, তার ইয়ত্তা নেই। সবচেয়ে বড় কথা, এই কৃষকবন্ধুর টাকা পেতে একে-তাকে ধরতে হয় না। ঠিক সময়ে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ঢুকে যায় টাকা।
আরও পড়ুন-সংসদভবনে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে শুভেন্দু, ক্ষুব্ধ বিজেপিই
বীজতলা তৈরির আগেই পেয়ে যাই পাঁচ হাজার টাকা। ফলে,আমরা, যারা কৃষিকাজ করি, সেই টাকায় বীজ কিনি, ঠিক সময়ে বীজতলা তৈরি করে ধান বুনি। পরে নবান্নের সময় আসবে দ্বিতীয় কিস্তির পাঁচ হাজার টাকা। এখন আর ঋণ নিতে হয় না। আগে প্রতি বছর যে টাকায় ঋণের সুদ দিতাম, সেই টাকা অন্য খাতে খরচ করি। কৃষকবন্ধু প্রকল্প সত্যিই কৃষকের বন্ধু। এর জন্য মুখ্যমন্ত্রীকে যে কী বলে ধন্যবাদ দেব ভেবে পাই না। তাঁকে অন্তর থেকে প্রণতি জানাই।
ধন্যবাদ দিদি