প্রতিবেদন : ৯ মাস পর পৃথিবীর মাটিতে সুনীতা উইলিয়ামস ও বুচ উইলমোর। বুধবার ভোর ৩-২৭ মিনিটে ফ্লোরিডা উপকূলে নাসার ২ মহাকাশচারী সুনীতা উইলিয়ামস ও বুচ উইলমোরকে নিয়ে পৃথিবী ছোঁয় স্পেসএক্স ক্রু-৯ মিশন। প্রহর গুনছিল আপামর বিশ্ব। অবশেষে চওড়া হাসি মহাকাশ বিজ্ঞানীদের মুখে। মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা সূত্রে খবর আপাতত সুস্থ আছেন দুজনেই তবে এখন প্রথমে পরীক্ষা-নিরীক্ষা এবং তারপর রিহ্যাবে থাকার পর্ব শুরু হবে দুই বিজ্ঞানীর। চিকিৎসকেরা আগেই জানিয়েছিলেন শারীরিকভাবে এই দুই নভশ্চর অনেকটাই দুর্বল থাকবেন। প্রাথমিক পরীক্ষার পর দেখা গেল সত্যিই ব্লাড প্রেসার থেকে শুরু করে দৃষ্টিশক্তির ক্ষমতা, সবেতেই বেশ কিছুটা অবনতি হয়েছে। আগামী তিন থেকে পাঁচ মাস হাড় এবং পেশির ক্ষয়, সহনশীলতার অভাব, ভারসাম্য বজায় রাখা-সহ নানা ধরনের সমস্যায় ভুগতে পারেন সুনীতারা। বিশেষ করে পায়ের জোর একদম কমে যাওয়ায় এখনই হাঁটতে পারবেন না তাঁরা।
আরও পড়ুন-ভারতরত্ন দেওয়া হোক সুনীতাকে : মুখ্যমন্ত্রী
পৃথিবীতে ফেরার পর এই দুই মহাকাশচারীকে আবার তাঁদের শরীরকে মাধ্যাকর্ষণ শক্তির জন্য তৈরি করতে হবে। তাই দুজনকেই অন্তত প্রথম ৪৫ দিন কাটাতে হবে ক্রু-কোয়ার্টারে। আগামী ৪৫ দিন কী কী নিয়ম মেনে চলতে হবে সুনীতাদের? ১. দুই মহাকাশচারীর দেহের অ্যাম্বুলেশন, নমনীয়তা এবং পেশিশক্তি পুনরুদ্ধারের উপর জোর দেওয়া হবে। ২. প্রতিদিন দু’ঘণ্টা করে করে চলবে বিভিন্ন শারীরিক কসরত, ফিজিওথেরাপি। ৩. এখনই বাইরের কারও সংস্পর্শে আসতে পারবেন না তাঁরা। ৪. নিয়মিত দৃষ্টিশক্তির পরীক্ষা করা হবে। ৫. হাড়ের দক্ষতা বাড়াতে ক্যালসিয়াম জাতীয় খাবার দেওয়া হবে, ভারসাম্য বজায় রাখতে নিয়ন্ত্রণ করা হবে প্রোটিনের মাত্রা। ৬. প্রত্যেকদিন নিয়ম করে রক্তচাপ পরীক্ষা এবং মস্তিষ্কের স্ক্যান করা হবে। ৭. স্বাভাবিক হাঁটাচলা করানোর আগে ওয়াকারে অভ্যাস করতে হবে। ৮. মানসিক চাপ ও ইমোশনাল ইমব্যালেন্স কাটাতে নিয়মিত কাউন্সিলিং হবে তাঁদের। ৯. স্বাভাবিক জীবনে ফেরাতে গান শোনানো বা সিনেমা দেখানো হবে এবং কসমিক রেডিয়েশনের প্রভাব কাটাতে নিয়মিত স্বাস্থ্যপরীক্ষা চলবে।