প্রতিবেদন : বিজেপি শাসিত ত্রিপুরা বিধানসভায় নজিরবিহীন পরিস্থিতি। শুক্রবার বাজেট অধিবেশন চলাকালীন রীতিমতো উত্তপ্ত হয়ে উঠল ত্রিপুরা বিধানসভা। শাসক দল বিজেপির বিধায়করা রীতিমতো চড়াও হলেন বিরোধী বিধায়কদের উপর। হাতাহাতি বাধল শাসক ও বিরোধী দলের বিধায়কদের মধ্যে। ঘটনার জেরে পাঁচ বিরোধী বিধায়ককে সাসপেন্ড করেন বিধানসভার স্পিকার। এদিনের ঘটনায় ত্রিপুরার বিজেপি সরকার আরও একবার বিরোধীদের কণ্ঠ রোধ করার চেষ্টা করল বলে অভিযোগ উঠেছে।
আরও পড়ুন-বাংলা ভাগের ছক কষছে ওরা
মার্চ মাসে অধিবেশন চলাকালীন বিধানসভার ভিতরেই পর্ন ছবি দেখতে গিয়ে হাতেনাতে ধরা পড়েছিলেন বিজেপি বিধায়ক যাদবলাল নাথ। সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয় সেই ভিডিও। ওই ঘটনায় বাগাবাসা কেন্দ্রের বিজেপি বিধায়ক যাদবলালের বিরুদ্ধে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছিল বিরোধীরা। কিন্তু তিন মাস কেটে গেলেও যাদবলালের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থাই নেয়নি বিজেপির সরকার। শুক্রবার বাজেট অধিবেশনের শুরুতেই বিষয়টি সামনে এনে যাদবলালের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানায় বাম, কংগ্রেস ও তিপ্রা মোথার মতো বিরোধী দলগুলি। তিপ্রা মোথার বিধায়ক অনিমেষ দেববর্মা এদিন অধিবেশন শুরু হতেই যাদবলালের পর্ন ছবি দেখা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। তাতেই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে পরিস্থিতি। শুরু হয় বিক্ষোভ ও স্লোগান।
আরও পড়ুন-৩২ হাজার চাকরি বাতিল নয় : কোর্ট
বিরোধী বিধায়কদের সঙ্গে হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়েন শাসক দল বিজেপির বিধায়করা। বিরোধী দলের বিধায়করা ওয়েলে নেমে এসে বিক্ষোভ দেখান। তিপ্রা মোথার কয়েকজন বিধায়ক টেবিলের উপর উঠে চিৎকার করতে থাকেন। এমনকী, বিরোধী বিধায়করা স্পিকারের চেয়ারের সামনে মানবশৃঙ্খল গড়ে তোলেন। এরপরই পাঁচ বিরোধী বিধায়ককে সাসপেন্ড করেন স্পিকার। ত্রিপুরা বিধানসভার স্পিকার বিশ্ববন্ধু সেন জানান, বিধানসভার কাজে বাধা দেওয়া এবং অসংসদীয় কাজের জন্যই ওই পাঁচ বিধায়কের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এদিন সাসপেন্ড করা হয়েছে কংগ্রেস বিধায়ক সুদীপ রায় বর্মন ও সিপিএম বিধায়ক নয়ন সরকারকে। চলতি বাজেট অধিবেশনের জন্য সাসপেন্ড করা হয় তিপ্রা মোথার বিধায়ক বৃষকেতু দেববর্মা, রঞ্জিত দেববর্মা এবং নন্দিতা রেয়াংকে।