সৌমালি বন্দ্যোপাধ্যায় : লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পে পাওয়া টাকায় এবার এলাকা আলোকিত করতে এগিয়ে এলেন মহিলারা। ডোমজুড়ের মাকড়দহ-২ নম্বর পঞ্চায়েতের রাঘবপুর ঘোষপাড়ার এই ঘটনা কার্যত দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। স্থানীয় মুনমুন ঘোষ, পিয়ালী ঘোষ, ববিতা ঘোষ, পম্পা চক্রবর্তী প্রমুখ জানালেন, ‘মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আমাদের প্রতি মাসে ৫০০ টাকা করে পাওয়ার ব্যবস্থা করে দিয়েছেন। সেই টাকায় এলাকার কিছু উন্নয়নের জন্য কাজে লাগিয়ে আমরা তাঁর প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাতে চেয়েছি।
আরও পড়ুন : বিজেপির উস্কানিতে আশান্তি দুবরাজপুরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিয়ে এল পুলিশ
উনি যেভাবে আমাদের জন্য প্রতি মাসে আর্থিক সংস্থানের ব্যবস্থা করেছেন সেই টাকার কিছুটা অংশ দিয়ে এলাকার উন্নয়নে কাজে লাগিয়ে আমরাও সমাজকে কিছুটা ফিরিয়ে দিতে চেয়েছি।’ এই ব্যাপারে এলাকার সক্রিয় তৃণমূল কংগ্রেস কর্মী উৎপল ঘোষ প্রথম এই পরিকল্পনা গ্রহণ করেন। তাঁর প্রস্তাব পেয়েই এগিয়ে আসেন এলাকার মহিলারা। তাঁরা নিজেদের সাধ্যমতো চাঁদা তুলে টাকা জমিয়ে মাকড়দহ-২ নম্বর পঞ্চায়েতের রাঘবপুর ঘোষপাড়া, নাককাটা ঠাকুরতলা এলাকার রাস্তায় আলো লাগানোর ব্যবস্থা করেন। ওই এলাকার প্রতিটি ল্যাম্পপোস্টে আলো লাগানো হয়। উৎপল ঘোষ বলেন ‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পের টাকা থেকেই মহিলারা এলাকায় স্ট্রিট লাইট লাগিয়েছেন। তাঁদের জন্যই এলাকা আলোকিত হল। এই থেকেই বোঝা যাচ্ছে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পে টাকা মহিলারা শুধু ব্যক্তিগত কাজেই লাগাচ্ছেন না। এলাকার উন্নয়নেও ব্যবহার করছেন। পুরো কৃতিত্বই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। তাঁর প্রকল্পের টাকাতেই স্ট্রিট লাইট লাগিয়ে এলাকা আলোকিত করে তোলা সম্ভব হল।’