প্রতিবেদন : বিভিন্ন সরকারি দফতর ও ভবনে বিদ্যুৎ খরচে রাশ টানতে রাজ্য সরকার ১৬ দফা নির্দেশিকা জারি করেছে। বিদ্যুৎ অপচয় নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর ক্ষোভ প্রকাশের পর বিভিন্ন দফতরে বিদ্যুৎ ব্যবহার নিয়ে কঠোর পদক্ষেপ নিচ্ছে রাজ্য সরকার। এরই অঙ্গ হিসাবে রাজ্যের মুখ্যসচিব ভগবতীপ্রসাদ গোপালিক এই নির্দেশিকা জারি করেছেন। তা সব দফতরের কাছে পাঠানো হয়েছে। বিদ্যুতের অপচয় বন্ধ করা কেন জরুরি, তা উল্লেখ করে ওই নির্দেশিকায়, টিফিনের সময় ও ছুটির পরে পাখা, আলো-সহ অন্যান্য বৈদ্যুতিক উপকরণ বন্ধ করে দিতে বলা হয়েছে। জানালার কাছে ও অন্য যেসব জায়গায় পর্যাপ্ত আলো রয়েছে, সেখানে আলো জ্বালাতে নিষেধ করা হয়েছে। কাজ শেষ হলে কম্পিউটার, এয়ারকন্ডিশনার প্রভৃতি বন্ধ রাখতে বলা হয়েছে। এয়ারকন্ডিশনার চলার সময় তাপমাত্রা ২৫ ডিগ্রিতে বেঁধে রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সরকারি দফতরে এলইডি আলো ও আইএসআই সার্টিফিকেট প্রাপ্ত ইলেকট্রিক উপকরণ ব্যবহার করে বিদ্যুতের খরচ কমানোর পরামর্শও দেওয়া হয়েছে। সৌর বিদ্যুতের ব্যবহার বাড়ানোর ওপর জোর দেওয়া হয়েছে। রাস্তার আলো বিকেল সাড়ে ৫টা থেকে পরের দিন ভোর সাড়ে ৫টা পর্যন্ত জ্বালাতে পুরসভা-পঞ্চায়েতগুলিকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সরকারি ভবনে বিদ্যুৎ ব্যবহারের ওপর নজর রাখতে একজন করে নোডাল অফিসার নিযুক্ত করতে মুখ্যসচিব নির্দেশ দিয়েছেন। এই নির্দেশিকা মেনে চলা হচ্ছে কি না ওই আধিকারিক তা দেখবেন। নির্দেশিকায় আরও বলা হয়েছে, বিদ্যুৎ খরচ কমানোর জন্য অফিসগুলিতে প্রশিক্ষিত কর্মী তৈরি করা হবে। বিদ্যুৎ দফতর তাঁদের জন্য বিশেষ প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করবে। এই নির্দেশিকা সব সরকারি দফতর ছাড়াও সরকারি সাহায্যপ্রাপ্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, সরকারি সংস্থা, স্বশাসিত সংস্থা, পুরসভা-পঞ্চায়েতের মতো সংস্থার ভবনের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে।
আরও পড়ুন-ভারতের জন্য এখনও ঝাঁপাতে চান সুনীল
একাধিক দফতরের বিদ্যুতের বিল দীর্ঘদিন বকেয়া রয়েছে। আগেই সেই সব দফতরকে কড়া নির্দেশ পাঠানো হয়েছে, অবিলম্বে বকেয়া না মেটালে আনুপাতিক হারে বাজেট ছাঁটাই করা হবে। রাজ্য সরকারের তরফে এই মর্মে সরকারি নির্দেশিকাও জারি করা হবে বলেও জানানো হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অর্থসচিব মনোজ পন্থকে নির্দেশ দেওয়ার পরই তৎপরতা শুরু হয়। রাজ্য প্রশাসনের সমস্ত দফতরেই জানিয়ে দেওয়া হয়েছে বিষয়টি।