প্রতিবেদন : প্রশ্নপত্র ফাঁসের মতো ঘটনা এড়াতে এবার মাধ্যমিকও সিসিটিভি-র নজরদারিতে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিল মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। প্রতিটি পরীক্ষাকেন্দ্রে অন্তত তিনটি করে সিসিটিভি বসাতেই হবে। পাশাপাশি মাধ্যমিকে ভাঙচুরে কড়া শাস্তি। মাধ্যমিকের পরীক্ষা কেন্দ্রে ভাঙচুর, হামলার মতো ঘটনা ঘটলে, কড়া ব্যবস্থা নেবে পশ্চিমবঙ্গ মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। ভাঙচুর বা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির সঙ্গে যে স্কুলের পড়ুয়ারা জড়িত থাকবে, সেই স্কুলের মাধ্যমিকের ফলপ্রকাশ আটকে দেবে পর্ষদ। বিভিন্ন স্কুল এবং পরীক্ষা কেন্দ্রগুলিতে শিগগিরই এই নির্দেশিকা পাঠানো হচ্ছে। মধ্যশিক্ষা পর্ষদের সভাপতি রামানুজ গঙ্গোপাধ্যায় জানিয়েছেন, ভাঙচুরে অভিযুক্ত স্কুল সেই পরীক্ষা কেন্দ্রকে ক্ষতিপূরণের টাকা এবং দুঃখ প্রকাশ না করা পর্যন্ত সেই স্কুলের ফল প্রকাশ স্থগিত রাখা হবে।
আরও পড়ুন-বীরবাহার ভয়ে দলবদলু নেতাই-মুখোই হলেন না
এক নির্দেশিকায় পর্ষদ জানিয়েছে, পরীক্ষার্থীদের ঢোকার পথ, প্রধান শিক্ষকের ঘর এবং প্রশ্নপত্র রাখার ঘর— এই তিনটি জায়গায় সিসিটিভি বসানো বাধ্যতামূলক। যে স্কুলে এই ব্যবস্থা থাকবে না, পরীক্ষা কেন্দ্র সেখান থেকে অন্যত্র সরিয়ে নেওয়া হবে। পর্ষদের নির্দেশ ঠিকভাবে মানা হচ্ছে কি না তা খতিয়ে দেখতে পর্ষদের পর্যবেক্ষকরা ফেব্রুয়ারি মাসের প্রথম সপ্তাহ থেকেই বিভিন্ন পরীক্ষা কেন্দ্র পরিদর্শন করবেন। এতদিন শুধুমাত্র স্পর্শকাতর কেন্দ্রগুলিতে সিসিটিভির মাধ্যমে নজরদারি চালানো হত।
আরও পড়ুন-সূর্য ওঠার আগেই শহিদ তর্পণে মানুষের ঢল
এবার সব পরীক্ষা কেন্দ্রেই কড়া নজরদারির পথে হাঁটল পর্ষদ। মধ্যশিক্ষা পর্ষদের সভাপতি রামানুজ গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, ‘কোনও অবাঞ্ছিত ঘটনা ঘটলে তার যাতে উপযুক্ত তথ্যপ্রমাণ থাকে সেজন্যই এই ব্যবস্থা।’ তিনি আরও বলেন, ‘অনেক সময়ই প্রশ্নপত্রের ছবি তুলে তা সোশ্যাল সাইটে দিয়ে বিভ্রান্তি ছড়ানো হয়। এ ধরনের ঘটনা রুখতেই সিসিটিভি বসানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।’ মাধ্যমিক পরীক্ষা নির্বিঘ্নে সম্পন্ন করতে ইতিমধ্যে প্রতিটি জেলায় মনিটরিং কমিটি গঠন করেছে মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। এ-বছরের মাধ্যমিক শুরু হচ্ছে ফেব্রুয়ারির ২৩ তারিখে। চলবে ৪ মার্চ পর্যন্ত।