প্রতিবেদন : ট্যাব জালিয়াতির (Tab Fraud) নেপথ্যে রয়েছে আন্তঃরাজ্য প্রতারণা চক্র! তাও রাজ্য সরকারের ‘তরুণের স্বপ্ন’ প্রকল্পে আবেদনকারী পড়ুয়াদের মধ্যে ৯৯ শতাংশের অ্যাকাউন্টেই শিক্ষা দফতরের পাঠানো ট্যাবের টাকা পৌঁছে গিয়েছে। ট্যাবের টাকা গায়েব হওয়া নিয়ে ভবানী ভবনে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে শুক্রবার এমনটাই জানালেন এডিজি (দক্ষিণবঙ্গ) সুপ্রতিম সরকার। বিভিন্ন জেলার পাশাপাশি কলকাতাতেও শতাধিক একাদশ ও দ্বাদশের পড়ুয়াদের অ্যাকাউন্টে ট্যাবের টাকা না ঢোকার অভিযোগ উঠেছে। শহরের ট্যাব জালিয়াতির তদন্তে ইতিমধ্যেই বিশেষ তদন্তকারী দল (সিট) গঠন করেছে লালবাজার। এবার রাজ্য পুলিশের তরফেও বিশেষ দল গঠন করা হল। এডিজি (দক্ষিণবঙ্গ) এদিন জানিয়েছেন, রাজ্য পুলিশ ও সাইবার বিভাগের শীর্ষ আধিকারিকদের নেতৃত্বে একটা জয়েন্ট ইনভেস্টিগেশন মনিটরিং টিম গঠন করা হয়েছে। এই দলে থাকছেন এডিজি সাইবার, এডিজি সিআইডি-২, আইজি সিআইডি-২, ডিআইজি সাইবার, ডিআইজি ওপস-সিআইডি-সহ বিভিন্ন জেলার এসপি ও নগরপালদের মতো শীর্ষ পুলিশকর্তারা। এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত যে মামলাগুলি হয়েছে, সেগুলি সর্বোচ্চ অগ্রাধিকারের সঙ্গে দেখবে এই দল।
আরও পড়ুন- পিএসসি পরীক্ষা, শনি-রবিতে চলবে ৪৪ বিশেষ ট্রেন
এদিন সুপ্রতিম সরকার জানিয়েছেন, ট্যাব জালিয়াতি (Tab Fraud) নিয়ে রাজ্য জুড়ে দায়ের-হওয়া ৯৩টি এফআইআরের ভিত্তিতে বিভিন্ন জায়গা থেকে এখনও পর্যন্ত ১১ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করে কিছু সূত্র মিলেছে। রাজ্য পুলিশের তরফে শিক্ষা দফতরের সঙ্গে যোগাযোগ করে পরিসংখ্যান চাওয়া হয়েছিল। সেখানে দেখা গেল, রাজ্য জুড়ে মোট ১৬ লক্ষ পড়ুয়ার জন্য ট্যাবের টাকা বরাদ্দ করা হয়েছিল। তার মধ্যে ১৯১১ জন পড়ুয়া প্রতারিত হয়েছেন। শতাংশের হিসেবে ৯৯ শতাংশ পড়ুয়াই তাঁদের অ্যাকাউন্টে ট্যাবের টাকা পেয়েছেন। তবে প্রতারণার এমন একটি ঘটনাও কাম্য নয়। তাই শিক্ষা দফতর, আইটি বিভাগ ও এনআইসির সঙ্গে যোগাযোগ রেখে রাজ্য পুলিশ ও সাইবার বিভাগের তদন্তকারী আধিকারিকরা সবরকম চেষ্টা করছেন। ইতিমধ্যেই ১১ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তার মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় পূর্ব মেদিনীপুর থেকে ৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করে জানা গিয়েছে, এই জালিয়াতির পিছয়ে একটা আন্তঃরাজ্য অসাধু চক্র কাজ করছে।]