প্রতিবেদন : স্বাভাবিক হাওড়ার শিবপুর। ছন্দে ফিরেছে জনজীবন। শনিবার দিনভর পুলিশি টহলদারি সহ ড্রোন উড়িয়ে নজরদারি, সবই চলল। পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে এমনকী এদিন সকাল থেকেই বাড়ি-আবাসনে গিয়ে পুলিশ কর্তারা কথা বলেন সাধারণ মানুষের সঙ্গে। কোথাও যাতে কোনওরকম সামান্যতম অশান্তিও না হয় সে বিষয়ে যথেষ্ট সতর্ক ছিল পুলিশ।
আরও পড়ুন-লেভির লোভী সিপিএম, দলের হিসাবরক্ষকের রহস্যমৃত্যু নিয়ে প্রশ্ন
শনিবার ঘটনাস্থলে যায় ফরেনসিক টিম। হাঙ্গামা, অশান্তির কারণে যাঁদের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, তাঁদের ক্ষতিপূরণ দেবে রাজ্য সরকার। পুরো পরিস্থিতির ওপর কড়া নজর রেখেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দিনভর দফায় দফায় পুলিশ কর্তাদের কাছ থেকে এবং স্বরাষ্ট্রসচিবের কাছ থেকে শিবপুরের খোঁজখবর নেন। শনিবার সকালে এলাকায় যান হাওড়ার নগরপাল প্রবীণ ত্রিপাঠী। দুপুরে সিআইডির ৭ জনের একটি দল ঘটনাস্থলে যায়। নেতৃত্বে ছিলেন সিআইডির আইজি(১) বিশাল গর্গ। এছাড়াও ছিলেন ডিআইজি(সিআইডি) সুখেন্দু হীরা সহ আরও অনেকে। সঙ্গে ছিলেন ফরেনসিক বিশেষজ্ঞরাও। তাঁরা ঘটনাস্থলে গিয়ে বেশ কিছু নমুনা সংগ্রহ করেন। কীভাবে ওই ঘটনা ঘটল তা জানতে এলাকার বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলেন সিআইডি অফিসাররা।
আরও পড়ুন-জীবন-সাধক যোগেশচন্দ্র
পাশাপাশি ক্ষতিগ্রস্ত বাড়ির লোকজনদের সঙ্গেও কথা বলেন। ভাঙা অটো, বাইক, চার চাকা গাড়িগুলির ছবি তোলেন তাঁরা। সেইসঙ্গে পুরো পরিদর্শন পর্বটাই ভিডিওগ্রাফি করে রাখেন সিআইডি আধিকারিকরা। শিবপুরের যেসব জায়গায় গোলমাল হয়েছিল সেই জায়গাগুলিতে গিয়ে এলাকাবাসীদের সঙ্গে কথা বলেন সিআইডি অফিসাররা। প্রায় ঘণ্টাখানেক এলাকায় থাকার পর তাঁরা শিবপুর থানায় গিয়ে কেস ডায়েরি হাতে নেন। সমবায়মন্ত্রী অরূপ রায়, জেলাশাসক মুক্তা আর্য, নগরপাল প্রবীণ ত্রিপাঠী একাধিকবার বৈঠক করেছেন। হাওড়ার পুলিশ কমিশনার প্রবীণ ত্রিপাঠী জানান, এলাকার পরিস্থিতি এখন স্বাভাবিক। দোকানপাট খুলেছে। রাস্তায় গাড়ি চলছে। স্বাভাবিক জনজীবন ফিরে এসেছে। ৩৮ জনকে গ্রেফতার করে হয়েছে। দুটি আলাদা মামলা করা হয়েছে। ড্রোন উড়িয়ে এলাকায় নজরদারি চালানো হচ্ছে। সেইসঙ্গে এলাকায় পুলিশি টহল চলেছে। মানুষ নির্ভয়ে রাস্তাঘাটে বেরোচ্ছেন।
আরও পড়ুন-এপ্রিল ফুলের উৎপত্তি-ইতিহাস
এদিকে ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণ দিচ্ছে রাজ্য সরকার। মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী জানান, ক্ষয়ক্ষতির বিষয়টি রাজ্য সরকার দেখছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আগেই বলেছেন যাঁরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন তাঁদের রাজ্য সরকারের তরফে সাহায্য করা হবে। জেলা প্রশাসন ক্ষয়ক্ষতির হিসাব করছে। জেলাশাসক ও পুলিশ কমিশনার পুরো বিষয়টি দেখছেন। জেলা প্রশাসনের রিপোর্টের ভিত্তিতে ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে। এরই সঙ্গে মুখ্যসচিব আরও জানান, শনিবার এলাকার পরিস্থিতি একেবারে স্বাভাবিক। স্বাভাবিক জনজীবন ফিরে এসেছে এলাকায়।